ঢাকা শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২

পুলিশ হেফাজতে জনি হত্যা মামলার আপিলের রায় আজ

কালের সমাজ | নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ১০, ২০২৫, ০৯:৪৮ এএম পুলিশ হেফাজতে জনি হত্যা মামলার আপিলের রায় আজ

রাজধানীর পল্লবীতে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনে গাড়িচালক ইশতিয়াক হোসেন জনির মৃত্যুর ঘটনায় বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিলের রায় আজ ঘোষণা হবে।

রোববার (১০ আগস্ট) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।

এর আগে ৭ আগস্ট আপিলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করা হয়। শুনানিতে আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান, সরওয়ার আহমেদ, মো. আবদুর রাজ্জাক ও নাজমুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বদিউজ্জামান তপাদার। বাদীপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম রেজাউল করিম।

২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পল্লবীর ১১ নম্বর সেকশনের ইরানি ক্যাম্পে এক গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে পুলিশের সোর্স সুমনের অশালীন আচরণের প্রতিবাদ করেন ইশতিয়াক ও তার ভাই ইমতিয়াজ। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সুমনের ফোনে পুলিশ এসে দুই ভাইকে থানায় নিয়ে যায় এবং নির্যাতন চালায়। পরে ইশতিয়াকের অবস্থা খারাপ হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওই বছরের ৭ আগস্ট ইমতিয়াজ হোসেন মামলা করেন। এটি ছিল ২০১৩ সালে প্রণীত ‘নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন’-এ প্রথম মামলা। বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়, যেখানে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়।

২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। দীর্ঘ বিচার শেষে ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর আদালত তৎকালীন পল্লবী থানার এসআই জাহিদুর রহমান, এএসআই রাশেদুল হাসান ও এএসআই কামরুজ্জামানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন। এছাড়া প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশের সোর্স সুমন ও রাসেলকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে এএসআই কামরুজ্জামান শুরু থেকেই পলাতক এবং সুমন কারাভোগ শেষে মুক্তি পেয়েছেন। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জাহিদুর, রাশেদুল ও রাসেল ২০২০ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন, যা ২০২১ সালে শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়। গত ৯ জুলাই থেকে একসঙ্গে শুনানি শুরু হয় এবং ৭ আগস্ট রায়ের জন্য ১০ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়।

কালের সমাজ//র.ন

Side banner
Link copied!