ঢাকা সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

তীব্র গরমে বাড়ছে রোগবালাই, হাসপাতালে নেই ঠাই

কালের সমাজ | মাসুম বিল্লাহ ইমরান, খুলনা প্রতিনিধি মে ১১, ২০২৫, ০৩:৪২ পিএম তীব্র গরমে বাড়ছে রোগবালাই, হাসপাতালে নেই ঠাই

বৈশাখের শেষে সূর্যের তেজ যেন প্রকৃতিকে পুড়িয়ে দিচ্ছে। তাপপ্রবাহের ফলে হঠাৎ তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ। প্রকৃতির এই পালাবদলের সময়ে দুর্বল মানুষগুলোর শরীরে আসে ব্যাপক পরিবর্তন। যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তারা নানা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ভোগেন। বিশেষ করে, শিশু ও বয়স্করা এর শিকার।

 

গতকাল খুলনা শিশু হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ২৫০ টি বেডেই রোগী রয়েছে। আর আউট ডোরে রয়েছে ভিড়। এই হাসপাতালে রোগী ভর্তি করতে না পেরে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছে অনেক রোগী। আবার অনেকে প্রাইভেট ক্লিনিটে চিকিৎসা নিচ্ছে। অধিকাংশ শিশুরা গরমের কারণে সৃষ্ট রোগে আক্রান্ত। হিমশিম খাচ্ছেন সেবিকারা। তারা বলছেন, অনেক বেশি গরম পড়লে বা ঠান্ডা পড়লে রোগীর চাপ বাড়ে। একদিকে অনেক গরম অন্যদিকে রোগীর চাপ। রীতিমতো আমরা হিমশিম খাচ্ছি।
জেলার রূপসা উপজেলার সিংহের চর এলাকা থেকে এই হাসপাতালে ছেলেকে নিয়ে এসেছেন সোনিয়া আক্তার। তিনি জানান, গত তিনদিন ধরে ছেলেটা কিছুই খাচ্ছে না। আবার পরশুদিন থেকে পাতলা পায়খানা করছে। প্রথম দিন ডাক্তার দেখিয়ে পরের দিন ভর্তি করতে হয়েছে। এখন অনেকটা ভাল।

 

খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো.  জানান, আগামী কয়েকদিন তাপ প্রবাহ অব্যহত থাকতে পারে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া খুলনায় ৩৯ দশমিক ৫, যশোরে ৪০ দশমিক ২, সাতক্ষীরায় ৩৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মে মাস ধরেই তাপপ্রবাহ চলবে। তবে আগামী সপ্তাহে খুলনা বা এসব এলাকায় হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টি হতে পারে।
 

শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. কামরুজ্জামান জানান, অতিরিক্ত গরমে শিশু এবং বৃদ্ধরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে। ফলে একটু বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজন না হলে বাইরে বের হওয়া যাবে না। শিশুসহ সকলকে প্রচুর পরিমানে তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে।

 

কালের সমাজ/ ম.বি./সাএ

 

Side banner