নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বর্ষাকালে ভাইরাসঘটিত জ্বর, বিশেষ করে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও সাধারণ সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ফলে উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীদের ভিড় বেড়েছে। প্রতিদিনই রোগী ও স্বজনদের লম্বা লাইন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় প্রতিটি মহল্লায় একাধিক ব্যক্তি জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকের ক্ষেত্রে তিন দিনের বেশি সময় ধরে জ্বর থাকায় উদ্বিগ্ন হয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছেন তারা।
স্কুলছাত্র সিয়াম (৫)-এর মা আসমা আক্তার জানান, “তিন দিন ধরে ছেলের জ্বর। ওষুধ খেয়েও জ্বর কমছিল না। পরে বাধ্য হয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসি। এখন পরীক্ষা করানো হচ্ছে।”
একই ধরনের অভিজ্ঞতা জানালেন স্থানীয় ভুলতা এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, “আমার স্ত্রীর কয়েকদিন ধরে জ্বর। গ্রামের ফার্মেসি থেকে ওষুধ খাওয়ালেও আরাম পাচ্ছিল না। শেষে আজ হাসপাতালে এলাম। এখানে এসে দেখি প্রচুর মানুষ এসেছে জ্বর নিয়ে।”
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আইভী ফেরদৌস বলেন, সাম্প্রতিক বৃষ্টিপাত ও আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ভাইরাসজনিত জ্বর বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে। আমরা রোগীদের পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে বেশি সমস্যা শিশু ও বৃদ্ধদের তাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় দ্রুত অসুস্থ হয়ে পরে আবার সুস্থ হতেও সময় লাগে এদিকে খেয়াল রেখে আমাদের সকলের সচেতন হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, “সাধারণ ভাইরাস জ্বর হলেও কেউ যেন অবহেলা না করেন। জ্বর তিন দিনের বেশি স্থায়ী হলে অবশ্যই হাসপাতালে এসে রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগ বিশেষ টিম গঠন করেছে। আক্রান্ত এলাকা চিহ্নিত করে ফগিং কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। একই সঙ্গে জনগণকে সচেতন করতে প্রচারাভিযানও চালানো হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, গত এক সপ্তাহে রূপগঞ্জ উপজেলায় অন্তত ৪০০ জন রোগী জ্বর নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ ডেঙ্গু সন্দেহে রক্ত পরীক্ষা করিয়েছেন।
কালের সমাজ/এ.আ./ সাএ
আপনার মতামত লিখুন :