বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের খ্রিস্টান পল্লীতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ছাগল লুটপাটের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মূল অভিযুক্তদের বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন মামলার বাদী অথরা বাড়ৈ।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর ১২টায় নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অথরা বাড়ৈ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কনক বাড়ৈ, সাগর বাড়ৈ, নিখিল বিশ্বাস, রিবিকা বিশ্বাসসহ স্থানীয় অনেক বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে অথরা বাড়ৈ অভিযোগ করে বলেন, “ঘটনার রাতে দুর্বৃত্তরা আমার ঘরের দরজায় চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আঘাত করে। আমি চিৎকার করলে তারা পালিয়ে যায়। এরপর তারা আমার ছাগলের খামারে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং ১৮টি ছাগল লুট করে নিয়ে যায়। একই রাতে আমার পেঁপে বাগানে শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়। ঘটনার সময় দুর্বৃত্তরা একটি বাটন মোবাইল ফেলে যায়, যার নম্বর ০১৮৬২-৯২৮৯৬০।”
তিনি বলেন, “উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনের কললিস্টে যাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে, তাদের নাম আমি সন্দেহভাজন হিসেবে উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দিই। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পুলিশ শুধু ফোনের মালিককে আসামি করে মামলা দায়ের করে এবং মূল অভিযুক্তদের বাদ দেয়। এটি স্রেফ একটি আইওয়াশ মামলা।”
মামলার বাদী আরও অভিযোগ করেন, ঘটনার পর থেকে তিনি ও তার পরিবার প্রতিপক্ষের হুমকি-ধামকির মুখে রয়েছেন। তিনি জেলা পুলিশ সুপার ও ডিআইজি’র কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও পরিবারের
নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ঘটনার পরদিন ২ জুলাই উজিরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও মামলায় প্রকৃত আসামিদের বাদ দিয়ে মামলা রুজু করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল সালাম ও তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জ্যোতির্ময়। এ বিষয়ে ওসিকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি। এসআই জ্যোতির্ময় সাংবাদিকদের বলেন, “বিষয়টি নিয়ে পরে কথা বলব।”
উল্লেখ্য, সোমবার (১ জুলাই) রাত ২টার দিকে রাজাপুর গ্রামের জহলাল বিশ্বাসের মেয়ে অথরা বাড়ৈর বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ছাগল লুটের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি ১ ও ২ জুলাই জাতীয় ও আঞ্চলিক ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
কারের সমাজ//এসং//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :