ঢাকা শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২

বন্যাকবলিত এলাকায় বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন

কালের সমাজ | নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ১০, ২০২৫, ০৬:১৬ পিএম বন্যাকবলিত এলাকায় বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন

টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বাঁধ ভেঙে অন্তত ২০টি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে সীমান্তবর্তী ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বহু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানিতে ডুবে গেছে বৈদ্যুতিক খুঁটি, ট্রান্সফরমার ও মিটার—যার জেরে দুর্ঘটনা রোধে প্রায় ৩১ হাজার ২০০ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।


পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নতার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কও বন্ধ হয়ে গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাট, কিসমত ঘনিয়ামোড়া, উত্তর শ্রীপুর, পূর্ব ঘনিয়ামোড়া, পশ্চিম ঘনিয়ামোড়া, গোসাইপুর, গাবতলা, মন্তলা, জগতপুর এবং পরশুরাম উপজেলার ধনীকুন্ডা, শালধর, বেড়াবাড়িয়া অঞ্চলে মোবাইল টাওয়ারগুলো বন্ধ হয়ে রয়েছে—ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।


পশ্চিম ঘনিয়ামোড়ার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বিদ্যুৎ না থাকলেও কোনোভাবে চলা যায়, কিন্তু মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকলে পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ অসম্ভব হয়ে পড়ে। তারা বলেন, গত বছরও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, কিন্তু মোবাইল অপারেটররা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়নি। জরুরি সময়ে জেনারেটরের মাধ্যমে মোবাইল টাওয়ার সচল রাখার দাবি জানান তারা।


এ প্রসঙ্গে পরশুরাম পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. সোহেল আকতার বলেন, উপজেলায় ৩৩ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ৬০ শতাংশের বিদ্যুৎ সংযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্যার পানি না কমা পর্যন্ত স্বাভাবিক সংযোগ পুনঃস্থাপন সম্ভব নয়।


অন্যদিকে, ফুলগাজী পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. হাবিবুর রহমান জানান, জনগণের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে ৩০ শতাংশ এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। সেখানে মোট গ্রাহক সংখ্যা ৩৮ হাজার।


কালের সমাজ//এসং.র.ন

Side banner
Link copied!