ঢাকা বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২

নন-লাইফ বীমা খাতের উন্নয়নে করণীয় নিয়ে প্রস্তাব

কালের সমাজ | অর্থনীতি ডেস্ক আগস্ট ১১, ২০২৫, ০৬:৪৯ পিএম নন-লাইফ বীমা খাতের উন্নয়নে করণীয় নিয়ে প্রস্তাব

নন-লাইফ বীমা খাতের বর্তমান সীমাবদ্ধতা ও সম্ভাবনা তুলে ধরে খাতটির উন্নয়নে একাধিক প্রস্তাব দিয়েছেন বীমা বিশেষজ্ঞ আহমেদ সাইফুদ্দীন চৌধুরী। তার মতে, সঠিক পরিকল্পনা ও নীতিমালার সংস্কারের মাধ্যমে নন-লাইফ বীমা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি বলেন, বর্তমানে নির্ধারিত এজেন্ট কমিশনের বাইরে অতিরিক্ত কমিশন প্রদান এবং বিশ্ববাজারের তুলনায় উচ্চ প্রিমিয়াম হার খাতটির উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এ পরিস্থিতিতে এজেন্ট প্রথা বিলুপ্ত করে এ খরচ মার্কেটিং এক্সিকিউটিভদের জন্য ব্যয় করা উচিত। একই সঙ্গে বীমা সেবার পরিধি বাড়াতে নতুন খাত চিহ্নিত করে বাধ্যতামূলক বীমার আওতায় আনার পরামর্শ দেন তিনি।

সরকারি ব্যবসায় রাষ্ট্রায়ত্ত সাধারণ বীমা কর্পোরেশনকে শতভাগ আন্ডাররাইটিংয়ের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। বর্তমানে ৫০ শতাংশ সরকারি ব্যবসা বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানির মধ্যে বণ্টন করা হয়, যা পরিবর্তন করে পুরো অংশ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কাছে দেওয়ার পক্ষে মত দেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ট্যারিফ মার্কেটে প্রিমিয়াম হার বেশি থাকায় অতিরিক্ত কমিশন প্রদানের প্রবণতা দেখা যায়। নন-ট্যারিফ মার্কেট চালু হলে বিশ্বমানের প্রতিযোগিতামূলক সেবা দেওয়া সম্ভব হবে এবং প্রিমিয়াম আয়ে বৃদ্ধি ঘটবে।

পুনঃবীমার ক্ষেত্রে বর্তমানে ৫০ শতাংশ সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের সঙ্গে এবং বাকী ৫০ শতাংশ বিদেশি বাজারে করার নিয়ম পরিবর্তন করে ৩০ শতাংশ সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের সঙ্গে এবং ৭০ শতাংশ বিদেশি বা বিকল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে করার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি।

নতুন পণ্য উদ্ভাবনে উৎসাহ দিতে পরীক্ষামূলক সময়ের ব্যবস্থা, বীমা দাবি নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং প্রিমিয়াম পরিশোধের সময়সীমা এক মাস পর্যন্ত শিথিল করার কথাও তিনি বলেন।

তার মতে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্টেকহোল্ডাররা একসঙ্গে কাজ করলে নন-লাইফ বীমা খাতকে আরও স্বচ্ছ, কার্যকর ও গ্রাহকবান্ধব করে তোলা সম্ভব হবে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

কালের সমাজ//র.ন

Side banner
Link copied!