ঢাকা রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মালয়েশিয়ার সহযোগিতা চায় ঢাকা

কালের সমাজ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক আগস্ট ১৬, ২০২৫, ০৪:৩৭ পিএম রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মালয়েশিয়ার সহযোগিতা চায় ঢাকা

দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মালয়েশিয়ার প্রভাব ও ভূমিকা কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের বর্তমান সভাপতি হিসেবে মালয়েশিয়া এ সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা বারনামাকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ প্রত্যাশার কথা জানান। বৃহস্পতিবার এ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে বারনামা।

ড. ইউনূস বলেন, “রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের অভিজ্ঞতা এবং আসিয়ানে নেতৃত্বের অবস্থান—দুটো মিলিয়ে মালয়েশিয়া সংকট সমাধানে অনন্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম। আমরা আশা করি মালয়েশিয়া তাদের প্রভাব পুরোপুরি ব্যবহার করবে, যাতে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়।”

তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সরকারি বাহিনীর চলমান সংঘাত রোহিঙ্গা সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে। এতে নতুন করে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, গত ১৮ মাসে অন্তত ১ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এর সঙ্গে আগে থেকেই আশ্রয় নেওয়া ১২ লাখ শরণার্থী মিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। “যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের জন্য তাদের তহবিল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে। এটি আমাদের জন্য বিরাট সমস্যা,” যোগ করেন তিনি।

ড. ইউনূস জানান, রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে আগামী কয়েক মাসে তিনটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। এর মধ্যে প্রথমটি চলতি মাসের শেষ দিকে কক্সবাজারে, দ্বিতীয়টি সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে এবং তৃতীয়টি বছরের শেষে কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত হবে।

২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে লাখো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। বর্তমানে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে। ২০২১ সাল থেকে মিয়ানমারে চলমান সশস্ত্র সংঘাত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করেছে।

মানবিক বিবেচনায় মালয়েশিয়া ইতিমধ্যে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে, যদিও দেশটি জাতিসংঘের শরণার্থী সংক্রান্ত কোনো সনদ বা প্রোটোকলের স্বাক্ষরকারী নয়। এ ছাড়া সংকটের প্রভাব আসিয়ানের আরও কয়েকটি দেশ—থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়াতেও পড়ছে।

সূত্র: বারনামা

কালের সমাজ//র.ন

Side banner
Link copied!