ঢাকা মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট, ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২

৩৬ জুলাই বার্ষিকিতে জামায়েত এর গনমিছিল লক্ষ্মীপুরে।

কালের সমাজ | লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি আগস্ট ৫, ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম ৩৬ জুলাই বার্ষিকিতে জামায়েত এর গনমিছিল লক্ষ্মীপুরে।

৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিক উপলক্ষে লক্ষ্মীপুরে গণমিছিল করেছে জামায়াত ইসলামী। সদর উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরে স্মরণকালের বড় গণমিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী। 

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচি ‘৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের’ এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত হলেও এটিকে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত লক্ষ্মীপুরে জামায়াতের ‘শক্তি প্রদর্শন’ হিসেবে দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মিছিলে নেতৃত্বদেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার আমীর মাষ্টার রুহুল আমিন ভূঁইয়া।  

মঙ্গলবার সকালে শহরের ঝুমুর এলাকা থেকে মিছিল শুরু হয়ে ঢাকা-লক্ষ্মীপুর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উত্তর তেমুহনী এলাকায় গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তায় জনস্রোতের মিছিল টির প্রথম থেকে শেষ পয্যন্ত টানা ১২ মিনিট সময় পয্যন্ত। মানুষের ঢলের কারণে মহাসড়কে যানজট তৈরি হয়। স্থানীয় জামায়াত নেতারা দাবি করেন, এতে প্রায় ১২-১৫ হাজার মানুষ অংশ নেন। তবে সাধারণ মানুষের দাবি মিছিলে অংশ গ্রহণ করার সংখ্যা আরও বেশি।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়েত এর আমির মাষ্টার রুহুল আমিন ভুঁইয়া, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর এডভোকেট নজির আহমদ, জেলা সেক্রেটারী এ আর হাফিজ উল্লাহ্, সাবেক সেক্রেটারি মাওলানা ফারুক হোসাইন নুরনবী, জেলা সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা নাসির উদ্দীন মাহমুদ, এডভোকেট মহসিন কবির মুরাদ, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আবদুর রহমান, শামসুল ইসলাম, সরদার সৈয়দ আহম্মেদ, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন লক্ষ্মীপুর জেলা সভাপতি মমিন উল্লাহ্ পাটওয়ারী, লক্ষ্মীপুর শহর শাখার আমীর এডভোকেট আবুল ফারাহ্ নিশান, চন্দ্রগঞ্জ থানা আমীর মাওলানা নুর মোহাম্মদ রাসেল, রায়পুর উপজেলার সেক্রেটারী এডভোকেট আবদুল আউয়াল রাসেল, লক্ষ্মীপুর শহর জামায়াতের সেক্রেটারী হারুনর রশীদ, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা সেক্রেটারী ফয়েজ আহমেদ, চন্দ্রগঞ্জ থানা সেক্রেটারী এডভোকেট রেজাউল ইসলাম সুমন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে একশ্রেণির মানুষ চাঁদাবাজি শুরু করেছে। এর দায় কোনো নির্দিষ্ট দলের ওপর চাপাতে চাই না। তবে জনগণ আগামী নির্বাচনে এসব চাঁদাবাজদের প্রত্যাখ্যান করবে।

তারা আরও বলেন, আমরা কারও রক্তচক্ষুকে ভয় করি না। বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।

জুলাই আন্দোলনের মূল দাবি ছিল ন্যায়ভিত্তিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠন। তবে তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। ইসলামি আদর্শ ছাড়া দুর্নীতিমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র সম্ভব নয়। আওয়ামী সরকার বিদায়ের পর দেশে এখনো ফ্যাসিবাদী আচরণ, দুর্নীতি ও বৈষম্য চলমান, তার জন্য প্রয়োজন সংস্কার।সংস্কার চাড়া কোন নির্বাচন সুস্থ পরিস্থিতিতে হতে পারে না। 

দেশের দুর্নীতি, ঘুষ, লুটপাট, টাকা প্রাচার, গুম, খুন, এর রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। পলাতক হাসিনা বিভিন্নভাবে অপচেষ্টা করছে দেশে ঢুকে আবার রক্তপাত খুন লুটপাট সহ দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে, ইনশাআল্লাহ আমরা তা হতে দেবোনা।জামাত ইসলাম ক্ষমতা চায়না দায়িত্ব পেলে জামায়ত দেশের সেবক হিসাবে, কাজ করবে।দেশের সার্বজনীন অধিকার নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী।

কালের সমাজ//র.ন

Side banner
Link copied!