ঢাকা সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২

ইবি শিক্ষার্থী সাজিদের মৃত্যু: তথ্য চেয়ে তদন্ত কমিটির গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

কালের সমাজ | ইবি প্রতিনিধি জুলাই ২০, ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম ইবি শিক্ষার্থী সাজিদের মৃত্যু: তথ্য চেয়ে তদন্ত কমিটির গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তে তথ্য-উপাত্ত চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি।


রোববার (২০ জুলাই) প্রকাশিত এই বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন—ঘটনার বিষয়ে কারও কাছে প্রাসঙ্গিক তথ্য থাকলে তা লিখিতভাবে অথবা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর (০১৭১৫২১০০১২, ০১৭১৬০৫৩৫৯৬)-এ আগামী ২৩ জুলাই সকাল ১০টার মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।


এর আগে, গত ১৭ জুলাই বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় সাজিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি শহিদ জিয়াউর রহমান হলের ১০৯ নম্বর কক্ষে থাকতেন এবং তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়।


মৃত্যুর পরদিন (১৮ জুলাই) প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়। একইসঙ্গে হল প্রশাসন শহিদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. আব্দুল গফুর গাজীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। উভয় কমিটিই ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।


কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সুরতহাল রিপোর্ট, সিসিটিভি ফুটেজ, সাজিদের এক সপ্তাহের কললিস্ট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার কার্যক্রমসহ সব কিছু খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়া তার রুমমেট, বন্ধু, শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গেও আলাদাভাবে কথা বলা হবে। প্রদত্ত সব তথ্য গোপন রাখা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।


কমিটির আহ্বায়ক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, “আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে চেষ্টা করছি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাতে আর এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে, সেটিই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”


এদিকে, ১৯ জুলাই সাজিদের মৃত্যুকে ‘হত্যা’ দাবি করে ক্যাম্পাসে টানা সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। তারা তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এবং পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ৬ দিনের মধ্যে প্রকাশ, সিসিটিভি স্থাপন, হলে এন্ট্রি-এক্সিট মনিটরিং, ক্যাম্পাসে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ ও বহিরাগত নিয়ন্ত্রণসহ ১৫ দফা দাবি উত্থাপন করেন। পরে প্রশাসনের লিখিত আশ্বাসে আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলেও ৬ দিনের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।


কালের সমাজ//এসং.র.ন

Side banner

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!