রংপুরে আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানিকে কেন্দ্র করে বুধবার (৬ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামসহ গ্রেপ্তার ৬ আসামিকে।
একই মামলায় এদিন রাজসাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বর্তমানে মানবতাবিরোধী অপরাধে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চলমান মামলায় সাক্ষ্য দিচ্ছেন।
পলাতক রয়েছেন মামলার বাকি ২৪ আসামি। তাদের মধ্যে রয়েছেন বেরোবির সাবেক উপাচার্য ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনারসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তাদের পক্ষে ইতোমধ্যেই রাষ্ট্রপক্ষ থেকে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল-২।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার ও কাশিমপুর কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে ৬ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ দেবেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-২ এর তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল। অপর দুই সদস্য হলেন বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
ট্রাইব্যুনালে আনা আসামিরা হলেন—পুলিশের সাবেক এএসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৬ জুলাই রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের পার্ক মোড়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এ ঘটনার পর গত ৩০ জুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। একই সঙ্গে সকল আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :