ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পুরো গাজা দখলের পরিকল্পনায় হস্তক্ষেপ করবেন না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি গাজার মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করার দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছি। বাকি বিষয়গুলো সম্পর্কে আমি সত্যিই কিছু বলতে পারছি না। এটা ইসরায়েলের ওপর নির্ভর করছে।”
ইসরায়েল বর্তমানে গাজা উপত্যকায় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির আদেশ দিয়ে অঞ্চলটিকে ছোট ছোট খণ্ডে বিভক্ত করে ফেলেছে। গাজার প্রায় ৮৬ শতাংশ ভূখণ্ড এখন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাকি এলাকায়ও অভিযানের মাত্রা বাড়ালে ফিলিস্তিনিদের মানবিক সংকট আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তা মিরোস্লাভ জেনকা মঙ্গলবার সতর্ক করে বলেন, গাজা পুরোপুরি দখল করার পদক্ষেপ ‘বিপর্যয়কর পরিণতির’ ঝুঁকি তৈরি করছে। তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক আইন স্পষ্টভাবে বলছে—গাজা একটি ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এবং তাই তাকে সেভাবেই থাকতে হবে।”
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে বিপুল সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে সেই সহায়তার পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়েছে। এই অটুট সমর্থনের সুযোগ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া যুদ্ধে গাজায় লাগাতার বোমাবর্ষণ চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং দেড় লাখের বেশি আহত হয়েছেন। হতাহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের নির্লিপ্ত অবস্থান আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :