ঢাকা বুধবার, ০৬ আগস্ট, ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২

নির্বাচন ছাড়া কোনো কিছুতেই বিশ্বাস নেই: মির্জা ফখরুল

কালের সমাজ | নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ৬, ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম নির্বাচন ছাড়া কোনো কিছুতেই বিশ্বাস নেই: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “নির্বাচন ছাড়া আমরা অন্য কোনো কিছুতেই বিশ্বাস করি না। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমেই গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার পথ তৈরি হতে পারে।”

বুধবার (৬ আগস্ট) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষিত ‘জুলাই ঘোষণা’ ও নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দলটি।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের একমাত্র লক্ষ্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা। গোটা জাতি এখন মনে করে, নির্বাচনই বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ।”

তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে জনগণ একটি ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। তারা প্রাণ দিয়েছে, গুম-খুন-নির্যাতনের শিকার হয়েছে—শুধু ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার সুপরিকল্পিতভাবে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করেছে এবং রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিপীড়নের অস্ত্রে পরিণত করেছে।”

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, “এই সরকারের আমলে লক্ষাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে সাজানো মামলায় কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে ছয় বছর। তারেক রহমানসহ অনেক নেতাকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন কারাগারেই। বিরোধী নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করতে সরকার সব ধরনের অপকৌশল নিয়েছে।”

তিনি বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র ও জনতার স্বতঃস্ফূর্ত গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়। এ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের মনে নতুন করে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের আশা জেগে ওঠে।”

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় বসিয়ে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ শুরু করেছে বলেও জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, “৫ আগস্ট ঘোষিত ‘জুলাই ঘোষণা’ বিএনপির কাছে আশাব্যঞ্জক। আমরা এই ঘোষণা স্বাগত জানাই। এ ঘোষণার ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐকমত্য গড়ে উঠছে, তা একটি নতুন গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গঠনের সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে।”

বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদ, আহত, নিখোঁজ, পঙ্গু ও আন্দোলনে অংশ নেওয়া সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানানো হয়।

কালের সমাজ//র.ন

Side banner
Link copied!