ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

ব্লকেড উঠিয়ে নিন, রাজপথের একপাশে অবস্থান করুন : নাহিদ

কালের সমাজ | নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ১৬, ২০২৫, ০৬:৩৪ পিএম ব্লকেড উঠিয়ে নিন, রাজপথের একপাশে অবস্থান করুন : নাহিদ

সারাদেশে চলমান অবরোধ (ব্লকেড) কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ছাত্র-জনতাকে রাজপথের পাশে অবস্থান নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে বলেছেন তিনি।


বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে এ বিষয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে নাহিদের বার্তা তুলে ধরেন।


পোস্টে সারজিস লেখেন, “ব্লকেড উঠিয়ে নিন, রাজপথের একপাশে অবস্থান করুন। সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। - নাহিদ”


এছাড়া এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারীও ফেসবুক পোস্টে একই আহ্বান জানিয়েছেন।


প্রসঙ্গত, ১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ শিরোনামে মাসব্যাপী কর্মসূচি পালন করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এরই অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জে পদযাত্রা আয়োজন করে দলটি। গতকাল মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই কর্মসূচিকে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ নামে অভিহিত করা হয়।


এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে গোপালগঞ্জ সদরে পুলিশের একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততার কথা জানিয়েছে গোপালগঞ্জ থানা পুলিশ।


দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে প্রথম দফায় হামলা চালানো হয়। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মঞ্চের সাউন্ড সিস্টেম, মাইক, চেয়ার ভাঙচুর করে এবং এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।


পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে পুলিশের নিরাপত্তায় এনসিপি নেতারা পুনরায় সমাবেশ করেন। সেখানে নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম ও আখতার হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।


সমাবেশ শেষে গাড়িবহর নিয়ে মাদারীপুর যাওয়ার পথে ফের হামলার মুখে পড়েন এনসিপির নেতাকর্মীরা। এতে পুলিশের উপস্থিতিতেও নিরাপত্তাহীনতায় পড়া এনসিপির নেতারা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আশ্রয় নেন।


হামলাকারীরা সমাবেশ মঞ্চসহ আশপাশের স্থানে ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। এতে পুরো শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।


পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে মাঠে নামে বিজিবি। বিকেলের দিকে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে হামলা ও ভাঙচুরের খবর পাওয়া যায়। এরপর যৌথ বাহিনী একযোগে অভিযান শুরু করে।


এখনও পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।


কালের সমাজ//এসং.র.ন

Side banner
Link copied!