ধপাস করে দেয়ালের ওপাশে শব্দ হলো? যেন তলা পাঁচেক উপর থেকে শত কেজির বস্তা ফেলে গেলো কেউ। ধুপধুপ করে আগুন জ্বলছে রাস্তার উপর। পাকিস্তানী সেনাদের গাড়ির বহর যাচ্ছে কোথাও হানা দিতে। যে করেই হোক, ওদের আটকাতে হবে। শব্দ শুনে গলা ঝেড়ে কোড বললেন তেজগাঁও থানার দারোগা সাহেব।
-কে ওখানে? মাছ রফিক?
-হ স্যার! লাগবো নাকি!
দারোগা সাহেব বুঝে গেলেন, মুক্তিবাহিনী আসছে। ওদের নিশ্চয়ই সাহায্য দরকার। ছোট্ট পিস্তলটা সাবধানে পকেটে নিয়ে বেরিয়ে এলেন। লুকিয়ে রাখা খাবারগুলো তুলে দিলেন মুক্তিবাহিনীর হাতে। বুলেট ভর্তি রাইফেল হাতে বিদায় নিতে নিতে দামাল ছেলেদের চোখে ভেসে উঠতে লাগলো এক অপূর্ব দেশপ্রেমিকের অবয়ব। একজন সত্যিকারের পুলিশ অফিসার। দারোগা হারুন ভূঁইয়া। ওরপে ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ মোতাওয়াল্লী, হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ।
শূণ্যতার এ দেশে যখন কিছু নেই, মানুষে মানুষে বিবাদই যেখানে শেষ কথা, সেখানে কিছু কিছু মানুষ জন্মায় আসমানের সিতারা হয়ে। মানবতার বৃষ্টি হয়ে। খোদা হয়ত কাউকে এমন করে পাঠান, যারা নিপুন মোহনায় মার্জিত করে দেন আগামীর পৃথিবী। ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া এমনই এক কিংবদন্তি। যাকে বলা চলে মানবিকতার আইডল। পরসেবা ও পরোপকারের ছায়া। সম্মানিত পাঠক, এক আদর্শ ছেলের আত্মজীবনীর পথপ্রান্তরে আপনাকে স্বাগতম!
ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া ছোটবেলা থেকেই ছিলেন তুখোড় মেধাবী, উদ্যোগী ও সাহসী। যখন ছেলেরা বাবার হোটেলে পা তুলে বসে বসে খায়, তখন তিনি নিজ পড়া-শোনার খরচ চালাতেন নিজের কষ্টার্জিত আয় দিয়ে। সাথে ভূমিকা রাখতেন পিতার সংসার চালানোয়। বৃত্তির টাকা আর টিউশনি করে পেরিয়েছেন জীবনের সূক্ষ্ম ধাপগুলি। প্রথম শ্রেণিতে এমএম এবং ডিইউএমএস ডিগ্রি লাভ করেন ১৯৮১ সালে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অব ইন্টিগ্রেটেড মেডিসিন থেকে ডক্টর অব মেডিসিন এ ফেলোশিপ অর্জন করেন।
১৯৭২ সালে ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া উচ্চপদস্থ সরকারি পুলিশের চাকরি ছেড়ে যোগদান করেন লেঅফ
হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ এ। যোগদানের পর থেকে নিজের দ্বায়িত্ব পালন করেন নিষ্ঠা, সততা আর নিরুপনের সাথে। হঠাৎ এক ক্রান্তলগ্নের মুখোমুখি হয় হামদর্দ। তৎকালিন ব্যবস্থাপনা পরিষদের অদক্ষ পরিচালনা এবং আন্তরিকতা ও বিশ্বস্ততার অভাবে ব্যাপক বিশৃংখলার জন্ম হয় দেশের শীর্ষ ইউনানি কোম্পানি হামদর্দ। হামদর্দের যেন প্রাণ যায় যায়। মৃতপ্রায় হামদর্দ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তৎকালিন ব্যবস্থাপনা পরিষদ। বিলুপ্তের উপক্রম হয় হামদর্দ পরিবার। ১৯৮২ সালে এমনি এক অবস্থায় প্রবল সাহস এবং আত্নবিশ্বাস নিয়ে হামদর্দ পরিবারের পাশে দাঁড়ান হাকীম ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। তাঁর দ্বায়িত্ব গ্রহণকালীন হামদর্দের সম্পদ ছিল মাত্র ৫০ হাজার টাকা। অন্যদিকে এর বিপরীতে ঋণ ছিল ২ লাখ ৯২ হাজার টাকা। তীক্ষ্ম মেধা, প্রজ্ঞা, সৃষ্টিশীলতা, মননশীলতা, বুদ্ধি, পরিশ্রম, প্রচেষ্টা, ধৈর্য্য, সাহস ও আত্নবিশ্বাসের বলে সেই হামদর্দকে নিয়ে এসেছেন তিনি আজকের এই অনন্য উচ্চতায়। গড়েছেন এক আধুনিক হামদর্দ। তাইতো তাঁকে বাংলাদেশের আধুনিক হামদর্দের রূপকার বলা হয়। তাঁর এই নিপুন বাস্তব যোগ্যতা অনন্য হয়ে থাকবে হামদর্দ পাতায়।
হামদর্দ একটি ওয়াককফ প্রতিষ্ঠান। এর উপার্জন সম্পূর্ণরূপে মানব কল্যাণে ব্যয় হয়। প্রতিষ্ঠানটির গুরু দ্বায়িত্বে থেকে ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া চাইলে পারতেন হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করতে। কিন্তু তিনি হাজার হাজার কোটি টাকা পরিচালনায় থেকে একটি পয়সাও আত্নসাৎ না করে স্থাপন করেছেন অভিনব দৃষ্টান্ত। হামদর্দকে সম্পূর্ণরূপে ওয়াকক্ফ আইনে পরিচালনায় তিনি বদ্ধপরিকর। যেখানে এই কোম্পানীর মাত্র ৫০ হাজার টাকার সম্পদ এবং বিপরীতে ছিল ২ লাখ ৯২ হাজার টাকা দায়দেনা। সেখানে তিনি এই কোম্পানীর ১ কোটি টাকার সম্পদ করে আর সব নিজের করলেও বাহবা পেতেন। যা তিনি করেনই নাই, বরং নিজের মেধা, শ্রম, সময় ব্যক্তিগত কোন প্রতিষ্ঠানে ব্যয় না করে এই ওয়াক্ফ প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নেই আত্ননিয়োগ করে আছেন।
হামদর্দের কোন কার্যক্রমে তিনি এককভাবে কোন সিদ্ধান্ত দেননা। ডাইরেক্টর কিংবা তৎসংশ্লিষ্টদের মতামত ও সুপারিশ ব্যতিরকে তিনি কোন বিষয়ে স্বাক্ষর করেননা, এটি তাঁর ব্যক্তিগত বৈশিষ্টও বটে। হাকীম ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার এরূপ স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন সততার জন্য অনুকরণীয় বটে।
লোভ তাঁর চারপাশে ঘুরে, যুগ যুগ ধরে। যেন একটু তারে আঁকড়ে ধরে। কিন্তু লোভে তিনি বিন্দুমাত্রও আকৃষ্ট না হওয়ায় লোভ হাবুডুবু খায় হতাশার সাগরে। যেই ইউছুফ হারুন নিজ মেধা, প্রজ্ঞা, যোগ্যতা ও দক্ষতায় মৃতপ্রায় হামদর্দের দ্বায়িত্ব নিয়ে অনন্য উচ্চতায় স্থান দিয়েছেন, সেই ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া ইচ্ছা করলেই পারতেন এই ওয়াক্ফ প্রতিষ্ঠান নিয়ে পড়ে না থেকে ব্যক্তিগত কয়েকটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে সেগুলোকেও এমন উচ্চতায় স্থান করে দিতে। আর ওসব প্রতিষ্ঠানের পুরো উপার্জনই হত তাঁর ব্যক্তিগত। এমনকি এই কাজটি হত সম্পূর্ণ বৈধ। তবু তা না করে তিনি হামদর্দের উপার্জন দিয়ে দেশ ও মানবতার কল্যাণে কাজ করেই খুঁজে পেলেন পরম তৃপ্তি। নির্লোভ এই মানুষটির নামে নেই কোন ব্যাংক হিসাব। নেই ঢাকা শহরে নিজ নামে কোন ফ্ল্যাট কিংবা বাড়ি।
লোভ এবং অসততার মত অহংকারও ছুঁতে পারেননি ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়াকে। হামদর্দের সর্বোচ্চ পদ আরোহন করেও তিনি প্রতিষ্ঠানের সকল পর্যায়ের কর্মচারীকে নিজের পরিবারের সদস্যের মতই দেখেন। মিশে যান ছোট বড় সবার মাঝে। খুব সহজেই সবাই তার কাছে যেতে পারে। এ কারনেই হামদর্দ আজকের এই অনন্য উচ্চতায়। এছাড়াও তিনি সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে অত্যন্ত বিনয়ী আচরণ প্রদর্শন করেন। তবে অন্যায়কারী অনেক উচ্চ পর্যায়ের মানুষ হলেও তিনি তার বিরুদ্ধাচরণ করতে চিন্তা করেননা।
ড. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া বিশ্বাস করেন, পরিশ্রম বিফলে যায় না। দানের চাইতে দাতার হাত বড়। তাই তিনি কেবল দান করেই সীমাবদ্ধ থেকে যাননি। মানুষকে দানের যোগ্যতা করে দেয়ার প্রাণপণে লড়ে গেছেন তিনি। দেশের বেকারত্বে খানিকটা শীতলতা আনতে হামদর্দকে মাত্র একটি বিক্রয় কেন্দ্র থেকে ২৬৫ টি বিক্রয় কেন্দ্রে উন্নীত করে সারাদেশে ছড়িয়ে দিয়ে দেশের লাখ লাখ বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের এক মহা আয়োজন করেন ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। বিক্রয় কেন্দ্র ছাড়াও হামদর্দের ফ্যাক্টরিগুলোতেও অনেক যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন।
ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া প্রাচ্য চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে বাংলাদেশে এক নতুন দ্বার উন্মোচন করেছেন। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে প্রাচ্যদেশীয় চিকিৎসা বিজ্ঞান পেয়েছে সরকারি স্বীকৃতি। ফলশ্রুতিতে একটি বাস্তব ও গণমুখী জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি পরিকল্পনায় মেধানুসারে প্রত্যেকটি চিকিৎসা ব্যবস্থার যথাযথ বিকাশে সরকার গুরুত্ব দিয়েছে। সরকারি পর্যায়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হচ্ছে ইউনানী আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক। ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ইউনানী আয়ুর্বেদিক ঔষুধ উৎপাদনে তদারকি করছে।
প্রাচ্য চিকিৎসা বিজ্ঞান, ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সেতুবন্ধন রচনা করেছেন তিনি।
বাংলাদেশের জনকল্যানে নিবেদিত ওয়াকফ্ প্রতিষ্ঠানসমুহের স্বার্থ রক্ষায় সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রাখেন ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। ওয়াকফ প্রতিষ্ঠান সমুহের স্বার্থ রক্ষায় সারাদেশের প্রতিষ্ঠান সমুহের মোতাওয়াল্লীগণের নিকট তিনিই সবচেয়ে যোগ্যতম ব্যক্তি হিসেবে বিবেচ্য। তাই ওয়াক্ফ প্রতিষ্ঠানসমুহের মোতাওয়াল্লীগণ তাঁকে মোতাওয়াল্লী সমিতি বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট/আমীর মনোনীত করেন। ইউনানী চিকিৎসাকে বাংলাদেশে মর্যাদাপূর্ণ স্থানে অধিষ্ঠিত করতে সবচেয়ে বেশী অবদান রাখায় ইউনানী চিকিৎসকগণ তাঁকে বাংলাদেশ ইউনানী মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত করেন। তিনি অরফ্যানেজ ফেডারেশন বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান। ধুমপানবিরোধী সংগঠন আধুনিক এর ভাইস চেয়ারম্যানসহ অর্ধশতাধিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যোগ্যতার সহিত।
উন্নয়নশীল দেশ গঠনে নাগরিকদের সূ শিক্ষিত হওয়া অতিব জরুরি। এই উপলব্ধি থেকে দেশ প্রেমিক ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং হামদর্দের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করেছেন অনেকগুলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তন্মধ্যে হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, হামদর্দ পাবলিক কলেজ, হামদর্দ ইউনানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, হাকীম সাঈদ ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, আয়েশা (রাঃ) মহিলা কামিল মাদ্রাসা উল্লেখযোগ্য। এই প্রতিষ্ঠানসমুহের মাধ্যমে যেন শিক্ষার্থীরা শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি সততা, নৈতিকতা, মানবিকতা, সাহসিকতা, দেশপ্রেম ইত্যাদির গুণাবলিতে সমৃদ্ধ হতে পারে, সেজন্য তিনি গুরুত্বের সাথে মনিটরিং করেন। এছাড়াও তিনি দেশের অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অনুদান প্রদান করেন। শিক্ষার্থীদের পড়া-শোনায় অনুপ্রাণিত করতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বৃত্তি প্রদান করেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে অসংখ্য দারিদ্র শিক্ষার্থীর পড়া-শোনার খরচ বহন করেন অতিগোপনে। শিক্ষা বিস্তারে তাঁর উদ্যোগ সমুহ বাংলাদেশের শিক্ষা বিস্তারের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে, ইন শা আল্লাহ।
বাংলাদেশে পরিপূর্ণ বিজ্ঞান নগর প্রতিষ্ঠার ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছে জীবন্ত কিংবদন্তী ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে হামদর্দ বিজ্ঞান নগর। বিজ্ঞান নগরের কাজ চলছে খুবই দ্রুত গতিতে। হামদর্দ বিজ্ঞান নগর বাস্তবায়িত হলে বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশ আরেকবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা বাংলাদেশে আসবে হামদর্দ বিজ্ঞান নগর পরিদর্শনের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে এবং গবেষণার জন্যও আসবে অনেক গবেষক এবং বিজ্ঞানী।
নদীমাতৃক বাংলার সজিবতার মতই মানব সেবা জড়িয়ে আছে ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার অস্তিত্বে। নিজেকে বহু আগেই তিনি উৎসর্গ করেছেন এদেশের মানুষের কল্যাণে। তাঁর চিন্তা-চেতনা শুধুই দেশের উন্নয়ন এবং মানুষের সেবায় ব্রত। অস্তিত্বজুড়ে তাঁর দেশ ও মানব প্রেম। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যই ইউরোপ আমেরিকার আয়েসি জীবনের হাতছানিকে প্রত্যাখ্যান করে ওয়াক্?ফ প্রতিষ্ঠান হামদর্দের মাধ্যমে একের পর এক কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করে চলছেন। তিনি দেশের যেকোনো দূর্যোগে অর্থনৈতিক সাহায্য প্রদানের পাশাপাশি নিজেকেও প্রত্যক্ষভাবে নিয়েজিত করেন দূর্যোগের মোকাবেলায়। অসহায় মানুষের দুঃখ বিমোচনের জন্য তিনি নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করেন। মানুষের দুঃখকে নিজের দুঃখ মনে করেন। মানুষের সুখে তিনি নিজের সুখ খুঁজে পান। হাকীম ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া যেন ছোটবেলার বইয়ের পাতায় পড়া সেই ছড়ার অবয়ব, "সবার সুখে হাসব আমি, কাঁদব সবার দুঃখে ; নিজের খাবার তুলে দিব, অনাহারীর মুখে"।
মহান রাব্বে কা`বার নিকট প্রার্থনা, তিনি এই কিংবদন্তির সকল কাজগুলো কবুল করে নিন। তাকে দীর্ঘ নেক হায়াত দান করুন। আ-মীন
কালের সমাজ/সাএ
আপনার মতামত লিখুন :