জীবনের সীমাবদ্ধতা তাকে দমাতে পারেনি। বরং অভাব-অনটনের মাঝেই নিজের ব্যতিক্রমী প্রতিভা দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন কুলিয়ারচরের কিশোর মোঃ সাজিব। কখনো প্রাণীর ডাক নকল, কখনো শারীরিক কসরতÑতার এই অভিনব ও স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থাপনায় মুগ্ধ হাজারো মানুষ।
মোঃ সাজিব কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের সমিউল্লাহ পাড়ার বাসিন্দা আলাপ মিয়ার ছেলে। বর্তমানে সে লক্ষীপুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা না থাকলেও শৈশব থেকেই নিজের ভিন্নধর্মী প্রতিভাকে এগিয়ে নিতে চেষ্টা করেছে সাজিব। সে নিজের কণ্ঠ ব্যবহার করে শিয়ালের ডাক, বিড়ালের ডাক, কুকুরের ডাক, এমনকি সাপের বিন বাজানোর শব্দ পর্যন্ত নিখুঁতভাবে অনুকরণ করতে পারে। শুধু তাই নয়, সে অস্বাভাবিক শারীরিক ভঙ্গিমা প্রদর্শন করেও সবাইকে বিস্মিত করে তুলছে।
স্থানীয়রা জানায়, সাজিব তার স্বভাবসুলভ আচরণ ও ব্যতিক্রমী প্রতিভা দিয়ে এলাকাবাসীর প্রিয়মুখ হয়ে উঠেছে। স্কুলের সহপাঠীরাও তাকে নিয়ে গর্ব করে। তার এমন প্রতিভায় এলাকাবাসী যেমন আনন্দ পায়, তেমনি সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রতিদিন ছড়িয়ে পড়ছে তার ভিডিও।
সাজিবের মা-বাবা জানান, “প্রথমে তার শারীরিক ভঙ্গিমা দেখে ভয় পেতাম। ভাবতাম কিছু একটা সমস্যা আছে। পরে বুঝলাম, সে নিজেই এসব করতে পারে। এখন তার প্রতিভা দেখতে প্রতিদিন মানুষ আমাদের বাড়িতে ভিড় করে।”
তার বাবা আরও বলেন, “সরকার যদি সাজিবের শিক্ষা ও প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করে, তাহলে সে একদিন দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারবে।”
অসহায়তা বা সীমাবদ্ধতা নয়, প্রতিভা ও চেষ্টাই মানুষের প্রকৃত পরিচয়। মোঃ সাজিবের মতো তরুণরা যদি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পায়, তাহলে তারা একদিন দেশের সম্পদে পরিণত হবেÑএমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
কালের সমাজ/হাকা
আপনার মতামত লিখুন :