সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে হারলেও শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে ৭৪ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। ফলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতলেও শেষ ম্যাচে হেরে কিছুটা হতাশায় মাঠ ছেড়েছে স্বাগতিকরা।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান তোলে পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৬.৪ ওভারে মাত্র ১০৪ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
সিরিজ নিশ্চিত করায় শেষ ম্যাচে দল ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখার সুযোগ নেয় বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। একাদশে পাঁচটি পরিবর্তন এনে একাধিক তরুণ মুখকে সুযোগ দেওয়া হয়। তবে বদলে যাওয়া একাদশ ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই ব্যর্থ হয়।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ইনফর্ম ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম মাত্র ১ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন। রিভিউ নিয়ে উইকেট তুলে নেয় পাকিস্তান। লিটন দাসও হতাশ করেন। তিনি ৮ বলে ৮ রান করে ফেরেন।
মেহেদী হাসান মিরাজ কিছুটা ইতিবাচক শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৮ বলে করেন মাত্র ৯ রান। এরপর নিয়মিত বিরতিতে ফিরেছেন জাকের আলি, শেখ মেহেদী, শামীম হোসেনরা। ৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে মাত্র ২৫ রান।
শেষ দিকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তিনি ৩৪ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকলেও তা ছিল শুধুই পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর লড়াই।
পাকিস্তানের ইনিংসের শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৭ রান তোলে সফরকারীরা। ফারহান একাই রীতিমতো তাণ্ডব চালান। ৪১ বলে ৬৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ফেরেন নাসুম আহমেদের বলে।
মিডল ওভারে কিছুটা ফিরে আসে বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় পাকিস্তান। তবে শেষ দিকে হাসান নাওয়াজ (১৭ বলে ৩৩) এবং মোহাম্মদ নাওয়াজ (১৬ বলে ২৭) ঝড়ো ইনিংস খেলে স্কোর বড় করেন।
বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। নাসুম ২টি এবং শরিফুল ও সাইফউদ্দিন একটি করে উইকেট নেন।
দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে মাঠে নামায় এই হারের ব্যাখ্যা খুঁজে পায় বাংলাদেশ। তবে সিরিজ জিতে কিছুটা স্বস্তিতে টাইগার শিবির। অন্যদিকে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মাধ্যমে শেষ ম্যাচে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেল পাকিস্তান।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :