একসময় নিরিবিলি ও আরামদায়ক শহর হিসেবে পরিচিত ফরিদপুর এখন ধীরে ধীরে পরিণত হয়েছে যানজটের শহরে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজবাড়ি রাস্তার মোড় থেকে ডিসি অফিস পর্যন্ত সড়কে লেগে থাকে দীর্ঘ যানজট। এর মধ্যে নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা যেন ভোগান্তির প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শহরের প্রধান বাসস্ট্যান্ড মূল সড়কের পাশে থাকায় দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ির সারি লেগে যায়। এতে শুধু যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে না, বরং শহরের সামগ্রিক যান চলাচলও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে কর্মজীবী মানুষের দৈনন্দিন জীবনে এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে।
ফরিদপুর মটর ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (১০৫৫)-এর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন,
“একটু বৃষ্টি হলেই বর্তমান স্ট্যান্ডের ভেতরে জল জমে যায়। ভাঙাচোরা রাস্তা, অব্যবস্থাপনা আর ভেতরের অবৈধ দোকানগুলো যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। জায়গার অভাবে অনেক গাড়ি সড়কের উপরেই দাঁড়ায়, এতে শহরে আরও তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।”
তিনি আরও জানান, দ্রুত সমস্যা সমাধানে পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ হয়েছে এবং তারা আশ্বাস দিয়েছেন শিগগিরই সংস্কার কাজ শুরু হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি কয়েকটি জরুরি পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেন—টার্মিনালের ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা (যেখানে ৪-৫ ফুট কাদা জমে আছে)।ভেতরে সঠিক পার্কিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করে যান চলাচলের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা।
অন্যদিকে ফরিদপুর মটর ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি ইয়াসিন মোল্লা বলেন,
“আমরা চাই প্রশাসনের সহযোগিতা পেয়ে সব গাড়ি টার্মিনালের ভেতরে রাখতে। এতে রাস্তায় যানজট কমবে। কিন্তু শ্রমিকরা ভীষণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। রাস্তায় উঠলেই কখনো যাত্রীরা, আবার কখনো প্রশাসন তাদের মারধর করে। অবৈধ দোকান উচ্ছেদ হলে গাড়ি ভেতরে ঢুকতে আরও সুবিধা হবে। আমরা চাই জ্যামমুক্ত ফরিদপুর।”
স্থানীয়রা জানান, দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে শহরের যানজট আরও প্রকট আকার ধারণ করবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :