ঢাকা সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২

তিন সংগঠনকে ১৫ লক্ষ টাকা দেয়ার অভিযোগ, রাবি শাখা ছাত্রদল সভাপতির

কালের সমাজ | হ্লাথোয়াইছা চাক, রাবি প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ০৪:০৫ পিএম তিন সংগঠনকে ১৫ লক্ষ টাকা দেয়ার অভিযোগ, রাবি শাখা ছাত্রদল সভাপতির

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) ভোটার তালিকায় প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা,ভোটার তালিকা ছবিযুক্তসহ প্রকাশ করার এবং নারী শিক্ষার্থীদের  হেনস্তা ও পরিকল্পিতভাবে মব সৃষ্টি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্ন করে অপচেষ্টার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদল।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের-১ প্রধান ফটকের সামনে এ অবস্থা কর্মসূচি পালন করেন রাবি শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

এসময় তাঁরা ‘ জিয়া সৈনিক, এক হক লড়াই কর’,রাকসু‍‍`র ফি দিয়েছি, ভোটাধিকার চেয়েছি’, ‘ছাত্রদলের অঙ্গীকার, প্রথম বর্ষের ভোটাধিকার’, ‘নকীব ভোটার কমিশন, মানি না মানবো না’,‘পাকিস্তানের দালালিরা, হুশিয়ার সাবধান’, ‘নকীবের দালালিরা, হুশিয়ার সাবধান’, ‘আমার ভাই আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’,‘নকীব তুই জবাব দেই, আমার ভাই আহত কেন’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

এসময় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমদ রাহী বলেন, গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে, তা ছিল সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিত। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নাশকতা ও ছাত্রদলের ওপর হামলা করার জন্য শিবির, বাগছাস ও সমন্বয়ক নামধারী সংগঠনকে ১৫ লক্ষ টাকা প্রদান করেছে। গতকাল আমরা কোন মনোনয়ন উত্তোলনে বাধা প্রদান করিনি। আমরা সেখানে অবস্থান কর্মসূচিপালন করেছিলাম। শিক্ষার্থীরাই সেই টেবিল সরিয়ে দেয়। পরবর্তীতে কর্মকর্তারা রুমে ঢুকে যায়। যেন কেউ আক্রমণ করতে না পারে। আর আমরা শুধু কোষাধ্যক্ষের গেটে অবস্থান করছিলাম।

তিনি আরও বলেন, গতকালের ঘটনায় আমাদের দশজন নেতা-কর্মী হাসপাতালে ভর্তি আছেন এবং নারী শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীর সবাইকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কেননা এটি তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, আর এই অধিকার থেকে কাউকে বঞ্চিত করার ক্ষমতা কারোও নেই।

ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাবিহা আলম মুন্নি বলেন, আমরা সব সময় ছাত্রদের পক্ষে ছিলাম। রকসু নির্বাচনে আমরা নিজেদের থেকেও প্যানেল ঘোষণা করছি। ঘোষণা হওয়ার পরে কিছু অসঙ্গতি আমাদের চোখে পড়ে। এর মধ্যে একটি হলো, ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় না রাখা।

প্রথম বর্ষ থেকে মাস্টাস পর্যন্ত সকলেরই রাকসুতে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকে। আমরা আমাদের জীবনে প্রথম যেমন রাকসু নির্বাচন পাচ্ছি, তেমনি এটা তাদের জন্যও প্রথম। তারা যদি অংশগ্রহণ করতে না পারে তাহলে খুবই অযৌক্তিক হবে।

কালের সমাজ//র.ন

Side banner

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!