অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাদের টানা গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলায় নতুন করে অন্তত ৭৮ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩২ জন ছিলেন খাদ্য সহায়তা সংগ্রহে যাওয়া মানুষ। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য প্রকাশ করে।
গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নিতে ইসরায়েলি সেনারা অভিযান জোরদার করেছে। একইসঙ্গে প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণে সরিয়ে নিতে চাপ দিচ্ছে তারা। স্থানীয় কর্মকর্তাদের অভিযোগ, আবাসিক এলাকায় বিস্ফোরক রোবট ও ডিভাইস ব্যবহার করা হচ্ছে। গত তিন সপ্তাহে অন্তত ৮০টি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গাজার গণমাধ্যম দপ্তরের প্রধান ইসমাইল আল-থাওয়াবতা একে “ভূমি পোড়াও নীতি” বলে অভিহিত করেছেন।
সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, আল-কুদস হাসপাতালের কাছে গোলাবর্ষণে তাঁবুতে আগুন ধরে যায়। রিমাল এলাকায় একটি ভবনে হামলায় পাঁচজন নিহত হন। সাবরা অঞ্চলে বিমান হামলার পর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় আশপাশের ভবনগুলো। শিশু ও সাধারণ মানুষ মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।
রোববার গাজা সিটিতে আল-কুদস আল-ইয়াওম টিভির সাংবাদিক ইসলাম আবেদ নিহত হন। গাজার তথ্যমতে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ২৪৭–এর বেশি সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। অন্য হিসাব বলছে এই সংখ্যা ২৭০ ছাড়িয়েছে। কেবল খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে হামলায় ২১ জন নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে পাঁচজন সাংবাদিক।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত ৬৩ হাজার ৪৫৯ জনে, আহত হয়েছেন আরও দেড় লাখের বেশি। অন্যদিকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামাস আক্রমণে ইসরায়েলে নিহত হয়েছিল প্রায় ১ হাজার ১৩৯ জন, আটক করা হয়েছিল প্রায় ২০০ জনকে।
রোববার ইসরায়েলি সেনাপ্রধান আইয়াল জামির শীর্ষ কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে হামলা জোরদারের নির্দেশ দেন এবং নতুন রিজার্ভ সেনা ডাকার ঘোষণা দেন।
অন্যদিকে হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেড দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে ইসরায়েলি সেনাদের দুইটি যানবাহন ধ্বংস করেছে—একটি মার্কাভা ট্যাংক রকেট হামলায় এবং একটি সামরিক বুলডোজার বিস্ফোরণে।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :