দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের সেবা গ্রহণে বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আধুনিক চিকিৎসা সেবা সম্প্রসারণের জন্য ৫০ শয্যার অনুমোদন থাকা সত্ত্বেও জনবল সংকট ও ঔষুধের অভাবে হাসপাতাল কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সোলায়মান মেহেদী হাসান বলেন, “৫০ শয্যা অনুমোদন থাকলেও হাসপাতালে ৩১ শয্যার জনবল নিয়োজিত। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর অনেক পদ শূন্য থাকায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, প্রশাসনিক কাজ ও চিকিৎসা সেবা দিতে সমস্যায় পড়ছি।”
হাসপাতালে বর্তমানে মাত্র দুইজন ডাক্তার ও একজন গাইনী কনসালটেন্ট কার্যরত। আবাসিক মেডিকেল অফিসারসহ পাঁচজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে। প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের জন্য প্রধান সহকারী, ষ্টোর কিপারসহ বিভিন্ন পদও শূন্য। শুধুমাত্র ৩১ শয্যার জন্য ১২২ জন জনবল থাকা উচিত, কিন্তু বর্তমানে ৭৪ জন কর্মী রয়েছে, ৪৮টি পদ শূন্য। এছাড়া টেকনোলজিস্ট, জুনিয়র মেকানিক, অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার, ওয়ার্ড বয়, আয়া ও বাবুর্চির পদও শূন্য।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিদিন বহির্বিভাগে প্রায় ৬০০ জন, আন্তঃবিভাগে ৫০-৫৫ জন এবং ল্যাবে ২০-২৫ জন রোগী সেবা গ্রহণ করেন। স্থানীয়রা জানান, ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করার জন্য দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়াতে হয়। এছাড়া ঔষুধের অভাবে অধিকাংশ রোগী বাইরে থেকে ঔষুধ কিনতে বাধ্য হন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভুক্তভোগীরা দাবি করেছেন, শূন্য পদগুলো পূরণ করলে স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি পাবে এবং রোগীদের ভোগান্তি কমবে।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :