বছরের অন্যতম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় কাজিকি ভিয়েতনামের উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করেছে। সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেল থেকেই ঝড়টির প্রভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ঘণ্টায় ১১৮ থেকে ১৩৩ কিলোমিটার বেগে বইতে থাকা প্রবল বাতাস ইতোমধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোকে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।
ভিয়েতনামের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঝড়টির শক্তি কিছুটা কমলেও বাতাসের গতি এখনও বিপজ্জনক মাত্রায় রয়েছে। কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে, কাজিকি গত বছরের ভয়াবহ টাইফুন ইয়াগির মতোই বিধ্বংসী হতে পারে। ইয়াগি ছিল গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়, যাতে প্রায় ৩০০ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল।
ঝড়ের আগাম সতর্কতা হিসেবে হা তিঙ্ঘ প্রদেশ থেকে প্রায় ৬ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া থান হোয়া, কোয়াং ত্রি, হুয়ে ও দা নাংসহ মধ্যাঞ্চলের আরও কয়েকটি প্রদেশেও ব্যাপক সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঝড়ের কারণে কেন্দ্রীয় অঞ্চলের দুটি বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। কিছু ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে এবং হা তিঙ্ঘ প্রদেশে সড়ক পরিবহন পুরোপুরি স্থগিত রয়েছে।
এর আগে কাজিকি চীনের হাইনান দ্বীপের কাছ দিয়ে অতিক্রম করে দক্ষিণ চীনে প্রবল বাতাস ও ভারী বৃষ্টিপাত নিয়ে আসে।
কাজিকির প্রভাবে শুধু ভিয়েতনাম নয়, পার্শ্ববর্তী থাইল্যান্ডও বড় ঝুঁকিতে পড়েছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ৫৮টি প্রদেশে আবহাওয়ার সতর্কতা জারি করেছে। বুধবার পর্যন্ত আকস্মিক বন্যা, পাহাড়ি ঢল ও ভূমিধসের ঝুঁকি রয়েছে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
থাই সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আন্দামান সাগরের উত্তরাংশ ও থাইল্যান্ডের উপসাগরের উত্তরাংশে ঢেউয়ের উচ্চতা তিন মিটার পর্যন্ত হতে পারে। এজন্য জরুরি উদ্ধারকর্মী ও দুর্যোগ ত্রাণ বাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :