ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২
বর্ষা শেষে সংস্কার শুরু

খারাপ রাস্তায় মানুষের ভোগান্তিতে দুঃখপ্রকাশ, সেপ্টেম্বর থেকে সংস্কার শুরু

কালের সমাজ | নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ২৫, ২০২৫, ০৮:৫৬ পিএম খারাপ রাস্তায় মানুষের ভোগান্তিতে দুঃখপ্রকাশ, সেপ্টেম্বর থেকে সংস্কার শুরু

খারাপ রাস্তায় জনভোগান্তির কারণে দুঃখপ্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি জানিয়েছেন, বর্ষা শেষে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হবে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে তা সম্পন্ন করা হবে।

সোমবার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ঢাকার মহাসড়ক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান জানান, বর্তমানে অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, “এই দেড় হাজার কিলোমিটারের মধ্যে অগ্রাধিকারভিত্তিতে রাস্তা সংস্কার করা হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, প্রথমে জাতীয় মহাসড়ক সংস্কার করা হবে, এরপর আঞ্চলিক মহাসড়ক। যেসব রাস্তা বর্ষায় বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেগুলো এবার কংক্রিট দিয়ে মেরামত করা হবে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ মিয়া জানান, এলজিইডির অধীনে সারা দেশে ৪ লাখ ১১ হাজার কিলোমিটার সড়ক রয়েছে, এর মধ্যে এক লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটার পাকা। প্রতিবছর সড়ক মেরামতের জন্য প্রায় ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। তবে এবার বর্ষায় কত সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

সড়ক নির্মাণ ব্যয় কমানোর উদ্যোগ হিসেবে একটি ‘রিভিউ কমিটি’ গঠন করা হবে বলেও জানিয়েছেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়) শেখ মইনউদ্দিনকে এর প্রধান করা হবে। কমিটিতে সড়ক পরিবহন, স্থানীয় সরকার, সিটি করপোরেশন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞরা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।

তিনি জানান, গণপূর্ত অধিদপ্তরের রেট শিডিউল এবং সড়কের প্রাক্কলিত ব্যয় পর্যালোচনা করা হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে সড়ক নির্মাণ খরচ আন্তর্জাতিক মানের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি। তাই গুণগত মান অক্ষুণ্ন রেখে খরচ কমানোর পথ বের করবে কমিটি।

এক প্রশ্নের জবাবে ফাওজুল কবির বলেন, ঢাকার রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি ডাম্পিং করা হচ্ছে। নতুন গাড়ি সহজে নামানোর জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি গাড়ি আমদানির নীতি সংস্কারের উদ্যোগ চলছে, কারণ এক দেশ–নির্ভরতা গুণগত মানে প্রভাব ফেলছে। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

কালের সমাজ//র.ন

Side banner
Link copied!