চট্টগ্রাম বন্দরের প্রস্তাবিত মাশুল বাড়ানো নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক শেষ মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকটিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জাগো নিউজকে বলেন, “প্রায় সব স্টেকহোল্ডারই বলেছেন, একসাথে এত বেশি মাশুল বাড়ানো যাবে না। এতে দেশের রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আমরা বলেছি, যদি বাড়াতে হয়, গড়ে ১০ শতাংশের বেশি না করা হোক।”
শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ জানান, “বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সবাই বলেছেন, ১০ শতাংশের বেশি মাশুল বাড়ানো ঠিক হবে না। ব্যবসার ঝুঁকি বাড়ালে রপ্তানি এগোবে না। বর্তমানে ডলারের বৃদ্ধি, বন্দরের সেবার মাশুলের ওপরও প্রভাব ফেলেছে। নতুন মাশুল বাড়ালে ব্যবসায়ীরা আরও ক্ষতির মুখে পড়বেন।”
বিকডা মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, “আমরা মাশুল নিয়ে কোনো বক্তব্য দিইনি। তবে আমদানি কনটেইনারের ডেলিভারি ও স্ক্যানিং সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আরেকটি বৈঠক হবে।”
সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩৯ বছর পর চট্টগ্রাম বন্দরে মাশুল বাড়ানোর প্রস্তাব আনা হয়েছিল। প্রস্তাবিত নতুন হার অনুযায়ী বন্দরের আয় গড়ে ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। তবে স্টেকহোল্ডারদের আপত্তির কারণে সোমবারের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রস্তাবিত নতুন রেটে প্রতি ২০ ফুটের কনটেইনারে গড়ে ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা মাশুল ধার্য করা হয়েছে। নতুন রেট কার্যকর হলে আমদানি কনটেইনারে গড়ে ৫ হাজার ৭২০ টাকা, রপ্তানি কনটেইনারে ৩ হাজার ৪৫ টাকা বাড়বে। সবমিলিয়ে কনটেইনারপ্রতি গড়ে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা মাশুল দিতে হবে।
পরবর্তী বৈঠক আগামী ৫ সেপ্টেম্বর হওয়ার কথা রয়েছে।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :