ঢাকা শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২

ধানমন্ডির ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বরাদ্দে স্থিতাবস্থা জারি হাইকোর্টের

কালের সমাজ | নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ১৮, ২০২৫, ০৩:২৩ পিএম ধানমন্ডির ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বরাদ্দে স্থিতাবস্থা জারি হাইকোর্টের

রাজধানীর ধানমন্ডি ২ নম্বর রোডের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা মূল্যের একটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি বরাদ্দ ও সেখানে অবকাঠামো নির্মাণের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও বরাদ্দ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং জনগণের জন্য সংরক্ষণ করা হবে না— তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ আগস্ট) বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কাজী মাইনুল হাসান।

এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বরে ধানমন্ডির আলোচিত ওই বাড়ি (২৯ নম্বর) সরকারের সম্পত্তি বলে রায় দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তথ্য গোপন করে মালিকানা দাবি করায় সাংবাদিক আবেদ খানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পৃথক দুটি রিট নিষ্পত্তি করে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চ এই রায় দিয়েছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। আবেদনকারী নেহাল আহমেদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ আবুল হাসেম।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান জানান, ১৯৭২ সালে তৎকালীন মালিক দেশত্যাগ করায় সরকার বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে দখল ও নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে মালিকানা দাবিতে তোয়াব খান, আবেদ খানসহ কয়েকজন ১৯৮৯ সালে প্রথম সেটেলমেন্ট কোর্টে মামলা দায়ের করেন। আদালত শুনানি শেষে সরকারকেই বৈধ মালিক ঘোষণা করেন।

তবে পরবর্তীতে এস. নেহাল আহমেদ নামে এক ব্যক্তি ১৯৮৭ সালের একটি আবেদন দেখিয়ে ১৯৯৬ সালে মামলা করেন এবং সরকার পক্ষ থেকে যথাযথ প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করায় তার পক্ষে রায় হয়। সেই রায় বাস্তবায়নের জন্য তিনি হাইকোর্টে দুটি রিট দায়ের করেন।

এদিকে ২০১৫ সালে সাংবাদিক আবেদ খানও মালিকানা দাবিতে রিট করেন। কিন্তু পূর্বের রায় গোপন করার কারণে তাকে জরিমানা করেন হাইকোর্ট।

কালের সমাজ//র.ন

Side banner

আইন ও আদালত বিভাগের আরো খবর

Link copied!