বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি প্রচারে সিরাজগঞ্জে লিফলেট বিতরণ করলেন মির্জা মোস্তফা জামান।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিএনপির এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা মোরাদুজ্জামানের পুত্র এবং জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান বর্তমানে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।
তিনি বিশেষভাবে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ড এবং সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এই প্রচারাভিযানের প্রধান উদ্দেশ্য হল বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা বার্তাটি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো এবং তাদের ধানের শীর্ষ প্রতীকে ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করা।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল থেকে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামানের উদ্যোগে শহরের এস এস রোড ও বড়বাজার এলাকায় প্রায় পাঁচ হাজার লিফলেট বিতরণ করা হয়। এই কর্মসূচিতে সাধারণ পথচারী, ব্যবসায়ী, ছাত্র-ছাত্রী, রিকশা শ্রমিক এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিলন ইসলাম খান, জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিয়ামুল হাকিম সাজু, জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য মোঃ আসলাম উদ্দিন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম মিন্টু, সহ-প্রচার সম্পাদক জিন্নাহ সরদার এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মির্জা মোস্তফা জামান বলেন, ‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা বাস্তবায়নের মধ্যদিয়েই দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র, সুশাসন ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব। এই কর্মসূচি শুধু একটি রাজনৈতিক প্রচার নয়, এটি একটি সামাজিক অঙ্গীকার। জনগণের আস্থা অর্জনের মাধ্যমেই ধানের শীষ প্রতীকে বিজয় নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা ভোটের মাঠে নয়, মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে চাই।’
এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিএনপি সাধারণ মানুষের সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত হতে চাইছে এবং তাদেরকে দলীয় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত করতে চায়। রাজনীতির এই নতুন দিকটি সমাজে গণতন্ত্র ও সুশাসনের ভিত্তি সুদৃঢ় করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া এই উদ্যোগ দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে বলে দলের নেতারা বিশ্বাস করেন। এই ধরনের গণসংযোগ কার্যক্রমের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের বার্তা আরও কার্যকরভাবে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
বিএনপির এই প্রচেষ্টা তাদের রাজনৈতিক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করতে পারে এবং আসন্ন নির্বাচনে তাদের জন্য সফলতার দ্বার উন্মোচন করতে পারে।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :