বাংলাদেশের সুপারব্র্যান্ড ও টেক জায়ান্ট ওয়ালটনের মোল্ড অ্যান্ড ডাই ফ্যাক্টরি অর্জন করেছে বিশ্বব্যাপী মর্যাদাপূর্ণ লিড প্লাটিনাম সনদ। পরিবেশবান্ধব কারখানা স্থাপনের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (USGBC) ওয়ালটনকে এ সনদ প্রদান করে।
বুধবার (২০ আগস্ট ২০২৫) রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিসে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে লিড প্লাটিনাম সনদ গ্রহণ করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র চেয়ারম্যান এস. এম. শামছুল আলম এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস. এম. মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি কারিগরি সহায়তাদানকারী প্রতিষ্ঠান ৩৬০-ডিগ্রি টোটাল সলিউশন লিমিটেড এর আন্তর্জাতিক গ্রিন বিল্ডিং বিশেষজ্ঞ অনন্ত আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ওয়ালটন চেয়ারম্যান এস. এম. শামছুল আলম বলেন, “ওয়ালটন মোল্ড অ্যান্ড ডাই কারখানা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ও মর্যাদাপূর্ণ লিড প্লাটিনাম সনদ অর্জন করায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ও বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য। এজন্য উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।”
ওয়ালটনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস. এম. মাহবুবুল আলম বলেন, “পরিবেশ সুরক্ষায় ওয়ালটন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) অনুযায়ী কারখানায় জিরো কার্বন নিঃসরণ, জ্বালানি ও পানির সাশ্রয়, রিসাইক্লিং, সোলার এনার্জি ব্যবহারসহ বিভিন্ন গ্রিন প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। লিড প্লাটিনাম সনদ আমাদের এ উদ্যোগকে আরও উৎসাহিত করবে।”
আন্তর্জাতিক গ্রিন বিল্ডিং বিশেষজ্ঞ অনন্ত আহমেদ জানান, বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স শিল্পখাতে ওয়ালটনই প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে লিড প্লাটিনাম সনদ অর্জন করেছে। তিনি বলেন, “এই সনদ একটি কারখানার পরিবেশবান্ধবতা, জ্বালানি দক্ষতা এবং টেকসই ব্যবস্থাপনার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।”
উল্লেখ্য, ওয়ালটনের মোল্ড অ্যান্ড ডাই কারখানাটি ৩ লাখ ৭৬ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে গ্রিন স্ট্রাকচারাল ডিজাইনে নির্মিত। কারখানায় ২.১ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রুফটপ সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে, যা থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের তুলনায় কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি বৃষ্টির পানি পুনঃব্যবহার, উন্নত ভেন্টিলেশন সিস্টেম, প্লাস্টিক ও মেটাল রিসাইক্লিং এবং দিনের আলো সর্বাধিক ব্যবহারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
পরিবেশবান্ধব ও টেকসই শিল্পায়নে ওয়ালটনের এ স্বীকৃতি বাংলাদেশের গ্রিন ফ্যাক্টরি খাতকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :