ঢাকা সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২

চট্টগ্রাম বন্দরে মাশুল বাড়ছে ৪১ শতাংশ

কালের সমাজ | অর্থনীতি ডেস্ক আগস্ট ২৫, ২০২৫, ১২:১৪ পিএম চট্টগ্রাম বন্দরে মাশুল বাড়ছে ৪১ শতাংশ

প্রায় চার দশক পর চট্টগ্রাম বন্দরে মাশুল বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রস্তাবিত হার অনুযায়ী গড়ে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত মাশুল বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হলেও ব্যবসায়ীদের আপত্তির কারণে বিষয়টি আবারও পর্যালোচনায় যাচ্ছে।

আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে এ বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও আমদানি-রপ্তানিকারকসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা অংশ নেবেন।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, সর্বশেষ ১৯৮৬ সালে বন্দরের মাশুল বাড়ানো হয়েছিল। প্রস্তাবিত নতুন হার কার্যকর হলে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় এখনও মাশুল কম থাকবে। বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, বিষয়টি ইতোমধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। এ কারণে বন্দর চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঢাকায় অবস্থান করছেন।

সূত্র জানায়, গত ২৪ জুলাই প্রস্তাবিত নতুন মাশুল অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পায়। এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে এটি গেজেট আকারে প্রকাশের প্রস্তুতি চলছিল। তবে প্রকাশের আগেই ব্যবসায়ী ও ব্যবহারকারীদের আপত্তির মুখে পড়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

নতুন মাশুল কার্যকর হলে বন্দরের আয় গড়ে ৪১ শতাংশ বাড়বে। যেহেতু সব মাশুল ডলারে নির্ধারিত, তাই দেশে ডলারের দাম বাড়লে তার সঙ্গে সমন্বয় করে মাশুলও বাড়বে।

প্রস্তাবিত হার অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি বাড়তি চাপ পড়বে কনটেইনার পরিবহনে। বর্তমানে প্রতি ২০ ফুট কনটেইনারে গড়ে ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা মাশুল দিতে হয়। নতুন হার কার্যকর হলে বাড়তি গড়ে ৪ হাজার ৩৯৫ টাকা দিতে হবে। এতে আমদানিকৃত কনটেইনারে ৫ হাজার ৭২০ টাকা এবং রপ্তানি কনটেইনারে ৩ হাজার ৪৫ টাকা বেশি খরচ হবে। সব মিলিয়ে কনটেইনারপ্রতি মাশুল দাঁড়াবে প্রায় ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের পরিচালক ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম চট্টগ্রাম অধ্যায়ের সভাপতি এস এম আবু তৈয়ব বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে। এর ফলে রপ্তানিকারকরা চাপের মুখে আছেন। তার ওপর বন্দরে আবারও ৪১ শতাংশ মাশুল বাড়ালে রপ্তানিকারকরা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।”

তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীরা দ্বিগুণ চাপের মুখে পড়বেন। কারণ কাঁচামাল আমদানির সময় একবার মাশুল দিতে হয়, আবার তৈরি পণ্য রপ্তানির সময়ও দিতে হয়। এতে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সক্ষমতা কমে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

কালের সমাজ//র.ন

Side banner
Link copied!