ঘরের মাঠে শেষবারের মতো বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলতে নেমেছিলেন লিওনেল মেসি। শত শত সমর্থকে ভরা স্টেডিয়ামে সেই বিশেষ রাতটিকে রঙিন করে তুললেন তিনি নিজের চেনা ছন্দে—দারুণ ড্রিবলিং, নিখুঁত পাস আর জোড়া গোলের মাধ্যমে।
শুক্রবার ভোরে বুয়েনস আয়ার্সের এস্তাদিও মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে ভেনেজুয়েলাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। দলের হয়ে একটি গোল করেন লাওতারো মার্টিনেজ, বাকি দু’টি আসে মেসির জাদুকরী পায়ে।
পুরো স্টেডিয়াম যেন সাজানো হয়েছিল আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির বিদায়ী মঞ্চ হিসেবে। পরিবারের সবাই উপস্থিত ছিলেন তার পাশে। জাতীয় সঙ্গীতের সময় সন্তানদের নিয়ে মাঠে প্রবেশ করেন তিনি। পুরো ম্যাচজুড়ে গ্যালারিতে ধ্বনিত হয়েছে দর্শকদের করতালি ও স্লোগান।
ম্যাচের ৩৯তম মিনিটে প্রথম গোলটি আসে। হুলিয়ান আলভারেজের পাস পেয়ে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে নিখুঁত চিপে বল জালে পাঠান মেসি। এতে করে লিড নেয় আর্জেন্টিনা। এরপর খেলার নিয়ন্ত্রণ আরও মজবুত করে নেয় তারা। তরুণ মিডফিল্ডার ফ্রাংকো মাস্তান্তুয়ানো অভিষেকেই পরিণত খেলার ছাপ রেখে ভবিষ্যতের সম্ভাবনার বার্তা দেন।
দ্বিতীয়ার্ধে ৭৬ মিনিটে নিকোলাস গঞ্জালেসের ক্রস থেকে দুর্দান্ত হেডে গোল করেন বদলি ফরোয়ার্ড লাওতারো। আর মাত্র চার মিনিট পর থিয়াগো আলমাদার পাস থেকে কাছ থেকে শট নিয়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন মেসি। এতে করে ৩-০ তে জয়ের পথ পাকা হয়, আর ভেনেজুয়েলা ম্যাচে একটিও অন-টার্গেট শট নিতে পারেনি।
এই রাত মেসির জন্য ছিল আবেগে ভরা বিদায়ী মঞ্চ। সমর্থকরা তাকে সংবর্ধনা জানান সেই মানুষটিকে, যিনি আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন এবং অসংখ্য স্মৃতি উপহার দিয়েছেন।
ম্যাচটি একই সঙ্গে ছিল এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রতীক। মেসির অভিজ্ঞতার আলো আর মাস্তান্তুয়ানোর উত্থান কোচ স্কালোনির জন্য তৈরি করেছে আশার সমন্বয়।
এই জয়ে আর্জেন্টিনা বাছাইপর্বে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করল, অন্যদিকে ভেনেজুয়েলার বিশ্বকাপের স্বপ্ন আরও ক্ষীণ হয়ে গেল।
কালের সমাজ/এ.সং/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :