সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই ভারত জানিয়েছে, তারা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তা সুরক্ষায় সর্বোচ্চ অঙ্গীকারবদ্ধ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের রিয়াদ সফরের সময় প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, সৌদি আরব বা পাকিস্তানের যেকোনো এক দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসনকে উভয়ের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
এ প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা দুই দেশের এই চুক্তি সম্পর্কে অবগত। এর ফলে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর কী প্রভাব পড়তে পারে, তা আমরা পর্যালোচনা করবো। দেশের স্বার্থ সুরক্ষা এবং সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই সরকার সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
চুক্তি নিয়ে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, এটি উভয় দেশের অভিন্ন প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করছে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি-স্থিতিশীলতার স্বার্থে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানো এবং সম্ভাব্য আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ গড়ে তোলার বিষয়েও এতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সৌদি আরব ভারতের ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক অংশীদার। দেশটি ভারতের অন্যতম প্রধান জ্বালানি সরবরাহকারী এবং সেখানে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় কর্মী কাজ করেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ভারতের রাজস্থানে অনুষ্ঠিত ‘সাদা-তানসিক’ যৌথ সামরিক মহড়ায় সৌদি সেনারা অংশ নেয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দিল্লি-রিয়াদ প্রতিরক্ষা সম্পর্কও ধীরে ধীরে জোরদার হয়েছে।
কালের সমাজ // র.ন
আপনার মতামত লিখুন :