২০০৪ সালের একুশে আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ পেপারবুক থেকে পাঠ করছেন। অন্যদিকে বিএনপির পক্ষে উপস্থিত আছেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন এবং অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস।
বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারি হাইকোর্ট বেঞ্চ (বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন) তারেক রহমান ও বাবরসহ যাবজ্জীবন ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামিকে খালাস দেন। হাইকোর্ট রায়ে বলেন, এ মামলার বিচার প্রক্রিয়া আইনসম্মতভাবে হয়নি; চার্জশিটও ছিল আইনগতভাবে অগ্রহণযোগ্য।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর নিম্ন আদালত এ মামলার রায় দেয়। ওই রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই বছরের ২৭ নভেম্বর এই রায়ের নথি হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পাঠানো হয়।
লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টু, মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, পরিবহন ব্যবসায়ী হানিফ, জঙ্গি নেতা তাজউদ্দীন, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, শেখ ফরিদ, আবু সাইদ, মুফতি মঈনউদ্দিন ওরফে আবু জান্দাল, আবু তাহের, ইউসুফ ভাট ওরফে মাজেদ ভাট, আব্দুল মালেক, মফিজুর রহমান ওরফে মহিবুল্লাহ, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, জাহাঙ্গীর আলম, হোসাইন আহমেদ তামিম, রফিকুল ইসলাম সবুজ ও মো. উজ্জ্বল ওরফে রতন।
শাহাদাৎ উল্লাহ জুয়েল, আবদুর রউফ ওরফে আবু ওমর, আবু হোমাইরা ওরফে পীরসাহেব, সাব্বির আহমদ ওরফে আবদুল হান্নান, আরিফ হাসান ওরফে সুজন, হাফেজ ইয়াহিয়া, আবু বকর সেলিম হাওলাদার, আরিফুল ইসলাম আরিফ, মহিবুল মোত্তাকিন (পলাতক), আনিসুল মুরছালিন (পলাতক), খলিল (পলাতক), জাহাঙ্গীর আলম বদর (পলাতক), ইকবাল (পলাতক), লিটন (পলাতক), তারেক রহমান (পলাতক), হারিছ চৌধুরী (পলাতক), কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ (পলাতক), মুফতি শফিকুর রহমান (পলাতক), মুফতি আব্দুল হাই (পলাতক) ও রাতুল আহম্মেদ বাবু (পলাতক)।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন এবং শেখ হাসিনাসহ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। অনেকে আজও শরীরে স্প্লিন্টার নিয়ে কষ্টের মধ্যে জীবনযাপন করছেন, কেউ কেউ পঙ্গুত্ববরণ করেছেন।
কালের সমাজ//এসং.র.ন
আপনার মতামত লিখুন :