নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে উপজেলা বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ও তার ছেলের বিরুদ্ধে ৪০টি কারখানা দখলের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা যুবদল যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ প্রধান। গতকাল বুধবার বিকেলে মেঘনা নিউটাউন এলাকায় তার নিজ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ৯০ সাল থেকে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে ছাত্রদল, যুবদলে যুক্ত রয়েছি। গত কয়েকদিন আগে একটি কুচক্রী মহল আমার ও উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শহিদুর রহমান স্বপনের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যদি কেউ একটিও প্রমান করতে পারে তাহলে এর দায় আমরা মাথা পেতে নেব।
তিনি আরও বলেন, আপনারা সংবাদের মাধ্যমে প্রমাণ পেয়েছেন এ এলাকায় কারা চাঁদাবাজি, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কাজ করে। গত কয়েকদিন আগেও ২/৩ ডাকাত ও নৌ চাঁদাবাজ নৌ পুলিশের হাতে ধরা খাইছে। তাদের মুখেই তারা স্বীকার করেছে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানকে ইঙ্গিত করে বলেন, এ এলাকায় কারা চাঁদাবাজি, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে এবং এর সাথে জড়িত এই এলাকার বিএনপির পদপ্রাথী ও তার ভাই ভাতিজারা।
পিরোজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেন ওরফে পলিথিন জাকিরের সাথে হাত মিলিয়ে আমার এলাকার বড় মাপের নেতা ও তার ছেলে এবং তার ভাই ভাতিজা নৌ-চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ মুলক কর্মকান্ড করছে। বাদ পড়েনি মিল কারখানা ও ঠিকাদাররা, তাদেরও চাঁদা দিতে হয়।
আশরাফ প্রধান বলেন, আমি ব্যবসা করি ও রাজনীতি। আমাদের পারিবারিক একটি পরিচয় রয়েছে। আশপাশের এলাকায় আমার বাবার সুনাম রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মেঘনা শিল্পনগরী এলাকার হোলসিম-১,২ রফিকুল ইসলাম (সাবেক চেয়ারম্যান পিরোজপুর (ইউপি)কে, মদিনা টাইগার গ্রুপ তমিজ উদ্দিনকে, আমার ও আমার ভাইকে দুটো কারখানা এবং মাগুরা পেপার মিল ও আনন্দ ডকইয়ার্ড আমাদের পারিবারিক পরিচয়ে কারখানার কাজ করে থাকি।
এছাড়া মেঘনা শিল্পনগরীর প্রায় ৩৮/৪০ টি কারখানা একটি পরিবারের দখলে রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে মেঘনা গ্রুপ সকল অংগ প্রতিষ্ঠান, বসুন্ধরা গ্রপ সহ আরো কারখানা এই পরিবারের দখলে রয়েছে।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :