ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

মাদারীপুর শকুনি লেকপাড়ের ওয়াকওয়েতে মৃত্যুফাঁদ! বেহাল অবস্থায় আতঙ্কে দর্শনার্থীরা

কালের সমাজ | আরিফুর রহমান, মাদারীপুর প্রতিনিধি জুলাই ৩০, ২০২৫, ০৭:১৮ পিএম মাদারীপুর শকুনি লেকপাড়ের ওয়াকওয়েতে মৃত্যুফাঁদ! বেহাল অবস্থায় আতঙ্কে দর্শনার্থীরা

মাদারীপুরের অন্যতম জনপ্রিয় বিনোদনকেন্দ্র শকুনি লেকপাড় ওয়াকওয়ে এখন পরিণত হয়েছে দুর্ঘটনার মরণফাঁদে। টানা কয়েকদিনের বর্ষণে ওয়াকওয়ের বিভিন্ন স্থানে স্ল্যাবের নিচের বালু সরে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ভয়ঙ্কর গর্ত ও খাদা। ফলে প্রতিদিন বেড়াতে আসা শত শত দর্শনার্থী পড়ছেন জীবনের ঝুঁকিতে।

সারজমিনে গিয়ে দেখা যায় মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই শকুনি লেক পাড় গিয়ে দেখা যায়—ওয়াকওয়ের বহু জায়গায় স্ল্যাব ধসে পড়েছে, কোথাও কোথাও স্ল্যাব স্লাব ভেঙে গেছে। এসব স্থানে অসাবধানতায় হোঁচট খেয়ে পড়ে যাচ্ছেন দর্শনার্থীরা, অনেকে আহতও হয়েছেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য ঝুঁকির পরিমাণ অনেক বেশি। অনেকেই বলেন, "এখানে হেঁটে বেড়ানো এখন যেন জীবন নিয়ে জুয়া খেলার মতো।"

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে ওয়াকওয়ের সংস্কারে কোনো নজরই দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ । কেন যে সাধারণ মানুষের ও ঘুরতে আসার দর্শনার্থীদের চলাচলের জন্য সুব্যবস্থা করছে না তা বুঝতে পারছি না। এভাবে জোড়া তালি দিয়ে কি সমাধান দীর্ঘস্থায়ী টেকসই একটি অয়াকওয়ে আমরা চাই। কেন ভারি বৃষ্টিতে নিচের বালু সরে গিয়ে একের পর এক স্ল্যাব ধসে পড়ছে।

এলাকার ২ নং শকুনি বাসিন্দা বাদশা মিয়া বলেন, “গত সপ্তাহে আমার ছোট ছেলেটা গর্তে পা পড়ে পড়ে যায়। ভাগ্য ভালো বড় কিছু হয়নি। অথচ পৌরসভা এত বড় বড় গর্ত দেখেও কিছু করছে না।”
দর্শনার্থীরা বলছেন “শুধু সৌন্দর্য নয়, নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও পৌর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।”

মাদারীপুর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন হাওলাদার বলেন, “বৃষ্টির পানিতে এবং ইঁদুরের কারণে ওয়াকওয়ে স্ল্যাবের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে। ফলে অনেক জায়গায় স্ল্যাব ধসে পড়েছে। আমরা ইতোমধ্যে এসব স্থান পরিদর্শন করেছি। তবে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় আপাতত পূর্ণ সংস্কার সম্ভব নয়। তবুও জরুরি ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে বালু ও মাটি ফেলে ঝুঁকিপূর্ণ অংশগুলো সংস্কার করার ব্যবস্থা নেয়া হবে ।

দর্শনার্থীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙা অংশগুলোতে জরুরি মেরামত ও সংস্কার করে নিরাপদ চলাচলের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান। তারা বলেন “কোনো বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আগেই কর্তৃপক্ষের এদিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত।”

কালের সমাজ//র.ন

Side banner

পথে-প্রান্তরে বিভাগের আরো খবর

Link copied!