ফরিদপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে "রেমিটেন্স যোদ্ধা দিবস"। এ উপলক্ষে শনিবার (গতকাল) ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজনে ছিল ফরিদপুর জেলা প্রশাসন, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক ষষ্ঠীপদ রায়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রামানন্দ পাল।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আজম, টিটিসির অধ্যক্ষ মোঃ আখতারুজ্জামান, প্রবাসী কল্যাণ সেন্টারের পরিচালক আশিক সিদ্দিকী, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ফরিদপুর শাখার ব্যবস্থাপক মাহমুদা সুলতানা এবং ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সমন্বয়কারী খালেদ মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। তাঁদের পরিশ্রম ও ত্যাগের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে এবং এখনো তা অব্যাহত আছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বৈধ পথে রেমিটেন্স আহরণে বিশ্বে পঞ্চম স্থানে রয়েছে, যা গর্বের বিষয়।
বক্তারা আরও বলেন, বিদেশগমন ও সেখানে অবস্থানের ক্ষেত্রে নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে এবং বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ পাঠাতে হবে। হুন্ডির মতো অবৈধ পথে লেনদেন থেকে বিরত থাকতে হবে। সরকার প্রবাসীদের সুরক্ষা ও সহযোগিতায় বদ্ধপরিকর।
আলোচনায় ১৯ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকার কথা বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়। বক্তারা জানান, সেই সময় দেশের ছাত্র-জনতার হত্যার প্রতিবাদে প্রবাসীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করে, যার ফলে অনেককে বিদেশে কারাবরণও করতে হয়। বক্তারা ১৯ জুলাইয়ের আন্দোলনকে গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের পক্ষে একটি শক্তিশালী অবস্থান বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং চারজন রেমিটেন্স যোদ্ধাকে বিশেষ সম্মাননা ও পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এনজিও, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :