জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ব্যবসায়ী মহলে আশার সঞ্চার হয়েছে। তবে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, জ্বালানি সঙ্কট ও ব্যাংক খাতের অনিশ্চয়তা এখনও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।
তাদের মতে, বিনিয়োগ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন, জ্বালানি নিরাপত্তা ও আর্থিক খাত সংস্কারের প্রত্যাশা থাকলেও গত এক বছরে বড় কোনো অগ্রগতি হয়নি। উল্টো উচ্চ সুদ, জ্বালানি সঙ্কট এবং ব্যাংকিং অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগ ও বিদেশি আগ্রহ—উভয়ই কমেছে, ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে আছে।
আনোয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান মানোয়ার হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ ঘনিয়ে আসায় দেশে সস্তির হাওয়া বইছে। আমরা বিশ্বাসের জায়গা খুঁজে পাচ্ছি, আশার আলো দেখছি।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘যোগ্য জনশক্তি ছাড়া বিনিয়োগ টেকসই হবে না। বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সুরক্ষামূলক নীতি প্রয়োজন।’
বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান মনে করেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও আশাবাদী হবেন। তার ভাষায়, ‘নির্বাচনের রোডম্যাপ বিনিয়োগের পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে। দীর্ঘমেয়াদে প্রতিশ্রুতি রক্ষা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে।’
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকিন আহমেদ জানান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি ব্যাংক খাত পুনর্গঠন জরুরি বলে তিনি উল্লেখ করেন। তার মতে, এসব সমস্যার সমাধানে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত ব্যবসার পরিবেশে হস্তক্ষেপ না করা।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ডিসেম্বরেই তফসিল ঘোষণা করা হবে। ব্যবসায়ীদের আশা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হলে বাংলাদেশ আবারও বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাবে।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :