ঢাকা রবিবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২

হামাস প্রস্তাবে রাজি হওয়ায় ইসরায়েলকে গাজায় হামলা থামাতে বললেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | অক্টোবর ৪, ২০২৫, ১১:০৫ এএম হামাস প্রস্তাবে রাজি হওয়ায় ইসরায়েলকে গাজায় হামলা থামাতে বললেন ট্রাম্প

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত বোমাবর্ষণ অবিলম্বে থামাতে আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা অবশিষ্ট ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে সম্মত হওয়ার পর তিনি এ আহ্বান জানান।

 

নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ শুক্রবার (৩ অক্টোবর) এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, “হামাসের সর্বশেষ ঘোষণার পর আমার বিশ্বাস জন্মেছে, তারা দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রস্তুত।”

 

তিনি আরও বলেন, “এখনই ইসরায়েলকে বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে হবে। যাতে দ্রুত ও নিরাপদে সব জিম্মিকে মুক্ত করা যায়। পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা ইতোমধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিস্তারিত আলোচনা শুরু করেছি। এর লক্ষ্য শুধু গাজা নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা।”

 

গত সপ্তাহে ট্রাম্প যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ২০ দফা সম্বলিত একটি শান্তি পরিকল্পনা উত্থাপন করেছিলেন। সেই প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়ে শুক্রবার হামাস জানায়, তারা জীবিত ও মৃত সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে এবং গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। একই সঙ্গে প্রশাসনিক ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়েও তারা আগ্রহী।

 

বিশ্লেষকদের মতে, হামাসের এই সম্মতি গাজা-ইসরায়েল সংঘাতের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। দুই বছর ধরে চলা ভয়াবহ যুদ্ধের পর এবারই প্রথম দুই পক্ষ শান্তির জন্য কাছাকাছি এসেছে।

 

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা আকস্মিকভাবে ইসরায়েলে প্রবেশ করে হামলা চালায়। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এর পরদিন থেকেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা। প্রায় দুই বছরে গাজায় নিহত হয়েছে অন্তত ৬৭ হাজার মানুষ এবং আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার। নিহতদের বড় অংশই নারী ও শিশু।

 

যুদ্ধ চলাকালে হামাস ধাপে ধাপে অনেক জিম্মিকে মুক্তি দিলেও এখনও তাদের নিয়ন্ত্রণে প্রায় ৩৫ জন জিম্মি আছে, যাদের মধ্যে অন্তত ২০ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

সম্প্রতি ট্রাম্প হামাসকে আল্টিমেটাম দিয়ে বলেছিলেন, রবিবারের মধ্যে সাড়া না দিলে ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হামাস তাদের সম্মতি জানায়।

 

তবে হামাস জানায়, জিম্মি মুক্তি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা হস্তান্তরের পাশাপাশি অন্যান্য শর্ত নিয়ে আলোচনা হবে একটি “একীভূত ফিলিস্তিনি জাতীয় কাঠামো”-এর আওতায়। এর মাধ্যমে তারা স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিই জোরালো করেছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

Side banner
Link copied!