গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার প্রায় সব নৌযান ইতোমধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। বহরে এখন কেবল একটি জাহাজ গাজার কাছাকাছি সাগরে ভাসমান রয়েছে। তবে ইসরায়েল জানিয়েছে, সেটিও খুব শিগগিরই আটক করা হবে।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, গাজার দিকে যাওয়া ফ্লোটিলার যাত্রা ‘বড় কোনো সংঘর্ষ ছাড়াই শেষ হয়েছে’। বৃহস্পতিবার বিকেলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার মাধ্যমে ‘অবরোধ ভাঙার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে’। তাদের দাবি, কোনো জাহাজ সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারেনি কিংবা ইসরায়েলের ঘোষিত ‘বৈধ নৌ অবরোধ’ ভাঙতে সক্ষম হয়নি।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, আটক হওয়া যাত্রীরা সুস্থ ও নিরাপদ আছেন। তাদের ইসরায়েলে আনা হচ্ছে এবং সেখান থেকে ইউরোপে ফেরত পাঠানো হবে। কেবল একটি নৌযান যান্ত্রিক সমস্যার কারণে সমুদ্রে অবস্থান করছে। সেটি গাজার উপকূলের কাছে এলে প্রতিরোধ করা হবে বলে সতর্ক করেছে ইসরায়েল।
এর আগে আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছিল, ফ্লোটিলা ট্র্যাকার ৪৪টি জাহাজের মধ্যে অধিকাংশকে ‘বাধাপ্রাপ্ত’ বা ‘সম্ভাব্য বাধাপ্রাপ্ত’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তখনও সামারটাইম-জং, শিরিন, মাইকেনো ও ম্যারিনেট নামের কয়েকটি জাহাজ চলাচল করছে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছিল। তবে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির কিছুক্ষণ পর ট্র্যাকার ওয়েবসাইট কাজ করা বন্ধ করে দেয়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সাইটে প্রবেশ করলে আর কোনো জাহাজের তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল না, শুধু মানচিত্র দেখা যাচ্ছিল।
অন্যদিকে ইসরায়েলের দাবি, আটক ফ্লোটিলার অংশগ্রহণকারীদের নিরাপদে আশোদ বন্দরে আনা হচ্ছে এবং পরবর্তীতে ইউরোপে পাঠানো হবে।
কালের সমাজ/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :