ঢাকা শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর, ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২

বান্দরবানে নিখোঁজ শিক্ষার্থী উদ্ধারে তৎপর পুলিশ-প্রশাসন

কালের সমাজ ডেস্ক | অক্টোবর ১, ২০২৫, ০২:০৯ পিএম বান্দরবানে নিখোঁজ শিক্ষার্থী উদ্ধারে তৎপর পুলিশ-প্রশাসন

বান্দরবানের কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রেংনয়া ম্রো নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তাকে উদ্ধারে তৎপর হয়েছে পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ও জেলা প্রশাসন।

প্রাথমিক তথ্যে জানা যায়, রেংনয়া বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে থাকত। বিদ্যালয়ের দৈনিক কার্যবিবরণী ডায়েরিতে সর্বশেষ ১১ সেপ্টেম্বর তার উপস্থিতির তথ্য রয়েছে। তবে শ্রেণির হাজিরা খাতায় ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উপস্থিত দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে ছাত্রাবাসের সুপার আরসাদ উদ্দিন সিদ্দিকীর দাবি, ১৯ সেপ্টেম্বরও রেংনয়াকে দেখা গেছে। তবে সিসিটিভি ফুটেজে তার প্রমাণ মেলেনি।

এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর বাবা সিংপাশ ম্রো গত ২৭ সেপ্টেম্বর বান্দরবান সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মান্না দের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়েছে।

অভিভাবকদের অভিযোগ, ছাত্রাবাসের দায়িত্বে অবহেলা ও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। তাদের দাবি, অনেক সময় হোস্টেল সুপার অনুপস্থিত থাকতেন, ফলে শিক্ষার্থীরা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাইরে যেত।

রেংনয়ার বাবা সিংপাশ ম্রো বলেন, “আমার ছেলে জেলা প্রশাসন পরিচালিত বিদ্যালয় ও হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করত। নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাকে বাড়ি থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে ভর্তি করিয়েছি। অথচ সে সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীনতায় পড়েছে। আমার শঙ্কা, হোস্টেল সুপারসহ কিছু শিক্ষক হয়তো মানবপাচারকারীদের কাছে তুলে দিয়েছে।”

এ বিষয়ে বান্দরবান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো. আবু তালেব জানান, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে হোস্টেল সুপার আরসাদ উদ্দিন সিদ্দিকী ও সহকারী সুপার সুনীল ত্রিপুরাকে শোকজ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “প্রশাসন শিক্ষার্থী উদ্ধারে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিচ্ছে।”

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মান্না দে বলেন, “রেংনয়াকে উদ্ধারে তিনটি পৃথক টিম কাজ করছে। বান্দরবানে মানবপাচারকারী চক্র নেই। বাস্তবতা বোঝার জন্য তার উদ্ধারের অপেক্ষা করতে হবে।”

 

কালের সমাজ/  ই.ক/সাএ

 

Side banner

গ্রাম-গঞ্জ বিভাগের আরো খবর

Link copied!