গাজার জন্য মানবিক সহায়তা বহনকারী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহরকে আটক করেছে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। এই ঘটনায় জাহাজে থাকা সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবীরা আটক হন এবং বর্তমানে তাদের ইসরায়েলের একটি বন্দরে নেওয়া হচ্ছে। খবর আল জাজিরার।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আটককৃত কর্মীরা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন। নৌবাহিনীর কমান্ডোরা সমুদ্রে তাদের আটক করার সময় কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। আশা করা হচ্ছে, আটক ব্যক্তিরা দুই ঘণ্টার মধ্যে আশোদ বন্দরে পৌঁছাবেন এবং পরে ইউরোপে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
গত রাতে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার উপর চলমান অবরোধ ভাঙার আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় ইসরায়েল কমপক্ষে ২১টি মানবিক সহায়তা বহনকারী জাহাজ আটক করেছে। বিষয়টি নিয়ে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠলেও ইসরায়েল এই বিষয়ে কোনো মনোযোগ দিচ্ছে না।
ঘটনার আগে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানিজে এবং কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো ফ্লোটিলাকে বাধাহীনভাবে কার্যক্রম চালানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, ফ্লোটিলার সরবরাহকৃত সহায়তা মানবিক আইনের আওতায় বৈধ। তবে ইসরায়েল দাবি করছে, ফ্লোটিলার স্বেচ্ছাসেবীরা “আইনসংগত নৌ অবরোধ ভাঙার চেষ্টা” করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী মানবিক সহায়তা পৌঁছানো বৈধ।
ফ্লোটিলার লক্ষ্য ছিল গাজার মানুষদের সহায়তা ও সংহতির মিশন সম্পন্ন করা। আটককৃতদের মধ্যে স্পেনের ৩০ জন, ইতালির ২২ জন, তুরস্কের ২১ জন এবং মালয়েশিয়ার ১২ জন রয়েছেন। স্বেচ্ছাসেবীরা জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার অভিযান হলেও ফ্লোটিলার মিশন থেমে যায়নি এবং এখনও কিছু জাহাজ ইসরায়েলি সামরিক বাধা উপেক্ষা করে গাজার উপকূলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।
কালের সমাজ/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :