চন্দ্রিমা উদ্যানের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ২০২৩ সালের জুলাই আন্দোলনের সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের তরুণ প্রজন্মকে রাজপথে নামার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
রিজভী বলেন, “জাতীয়তাবাদী পতাকা হাতে তারেক রহমান যে দৃঢ় নেতৃত্ব দেখিয়েছেন এবং তরুণদের আন্দোলনে যুক্ত করেছেন, তা ইতিহাসে উজ্জ্বলভাবে স্থান পাবে। তিনি শুধু দেশে নয়, প্রবাসেও সংগঠনকে সুসংগঠিত রেখেছেন।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আন্দোলনের সময় তারেক রহমান তরুণদের সামনে নেতৃত্বের এক অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছেন, যা নতুন প্রজন্মকে গণতন্ত্রের সংগ্রামে প্রেরণা জোগাবে।
এসময় বরগুনা ও পিরোজপুর জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। রিজভী বলেন, এই নেতারা আন্দোলনের সময় পুলিশের নির্যাতন ও নিপীড়নের মধ্যেও রাজপথে সক্রিয় থেকেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, “তাদের নেতৃত্বে বরগুনা ও পিরোজপুর জেলা বিএনপি একটি আদর্শ সংগঠন হবে, যেখানে কোনো চাঁদাবাজ বা সমাজবিরোধী আশ্রয় পাবে না।”
রিজভী বলেন, নতুন নেতারা জনগণের আস্থা অর্জন করবে এবং সেই ভিত্তিতেই মানুষ ‘ধানের শীষে’ ভোট দেবে। গত ১৬ বছর ধরে বিএনপির সংগ্রামের লক্ষ্য একটাই—গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার।
তিনি অভিযোগ করেন, আগের সরকার খালেদা জিয়াকে নির্যাতন ও কারা জীবনের মাধ্যমে দমাতে চেয়েছিল। এছাড়াও বিএনপির সিনিয়র এ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে “ভয়ঙ্কর ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের প্রতীক” হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন এবং মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছেন।”
রিজভী আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজন বিদেশে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছে। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের অকার্যকারিতার কথাও উল্লেখ করেন এবং বলেন, আদালত থেকে ২৪ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা উদ্ধারের নির্দেশ থাকলেও তা কার্যকর করা হয়নি।
রিজভী শহীদদের আত্মত্যাগকেও স্মরণ করেন এবং বলেন, “ওয়াসিম আকরাম, আবু সাঈদ, মুগ্ধর রক্ত বৃথা যাবে না। তাদের ত্যাগ মানুষকে গণতন্ত্রের লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত করবে।”
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :