গাইবান্ধা শহরের মমিনপাড়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে জনৈক মাহমুদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে জমির প্রকৃত মালিক মো. শফিকুল ইসলাম সোমবার (১৮ মে) দুপুরে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ এবং দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
শফিকুল ইসলামের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, পূর্বের দলিল অনুযায়ী রফিক মিয়ার দুই স্ত্রী – রসুলেন নেছা ও জরিনা বেগম– মিলে মমিনপাড়ার তিন খতিয়ায় মোট ৫৮ শতক জমি মালিকানায় পান। পরবর্তীতে মানবিক কারণে জমির সোয়া ১৪ শতক জরিনা বেগমের ভাগে রেখে সোলেনামা দেয়া হয়। তবে এতে নাবালক ও অন্যান্য ওয়ারিশদের স্বাক্ষর না থাকায় দলিলের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়।
জমির বাকি অংশে আদালতে ১৫ মে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে (মামলা নং ২৮৩/২৫) মামলা দায়ের করলে ১৪৪/১৪৫ ফৌজদারি কার্যবিধি জারি হয়। সেদিনই সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দিলে শফিকুল ইসলামসহ ওয়ারিশরা স্বস্তি পান। কিন্তু কয়েক দিন পরই আদালতের আদেশের বেআইনি নির্মাণে পুনরায় হাত দেয় মাহমুদ ও তার লোকজন, অভিযোগে বলা হয়, যে সংঘর্ষে অন্তঃসত্ত্বা শফিকুলের ভাগিনীর পেটে লাথি লাগে।
সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আরও জানান, শহরের পুরাতন বাজারেও তাদের দেড় দশমিক এলাকার দোকানপাট রয়েছে, সেগুলো দখলে নিয়েছে মাহমুদের ছোট ভাই মাহফুজ; নিয়মিত ভাড়া-জামানত আহরণ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জমির অন্যান্য ওয়ারিশ জয়নব বেগম, নারগিস বেগম, মঞ্জু বেগম, চুমকি বেগম, আফরিন বেগম ও নীরব।তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আদালতের আদেশ মানতে অস্বীকৃতি জানানোর ফলে পরিবারের সম্মান, নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য—সব কিছুই বিপদে। দ্রুত হস্তক্ষেপ না হলে বৃহত্তর সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।”
তিনি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে দাবি করেন অবিলম্বে নির্মাণ কাজ বন্ধ, দখলদারদের বিরুদ্ধে মামলা ও আদালতের আদেশের প্রতি শ্রদ্ধা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ
কালের সমাজ/ রে. রে./ সাএ
আপনার মতামত লিখুন :