ঢাকা সোমবার, ০৪ আগস্ট, ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২

মুহসিন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সাময়িক বরখাস্ত: কোটি টাকার দুর্নীতি অনিয়ম

কালের সমাজ | খুলনা ব্যুরো আগস্ট ৪, ২০২৫, ০৬:২৫ পিএম মুহসিন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সাময়িক বরখাস্ত: কোটি টাকার দুর্নীতি অনিয়ম

দৌলতপুর মুহসিন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল লতিফকে এক কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ৬৭৪ টাকা আত্মসাৎ, প্রশাসনিক অনিয়ম এবং কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির সঙ্গে বিধি বহির্ভূত আচরণের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ অডিট প্রতিবেদনে উল্লেখিত দুর্নীতি ও অসঙ্গতির ভিত্তিতে গত ২৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের ৯ম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয় যে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে ব্যাখ্যা চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ (স্বারক নং: মুমম-১০০(৩)/২৫) পাঠানো হয়। অধ্যক্ষ লতিফ ২৯ জুলাই নোটিশের জবাব প্রদান করলেও তাতে সন্তোষজনক কিংবা আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে ৩১ জুলাই পরিচালনা পর্ষদের ১০ম সভায় নোটিশের জবাব গ্রহণযোগ্য নয় মর্মে সিদ্ধান্ত হয় এবং ফলে বিধি অনুযায়ী অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল লতিফকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, অধ্যক্ষ লতিফ শুধু অর্থ আত্মসাৎই নয়, বরং পরিচালনা পর্ষদের সভা আহ্বানে অনীহা, সভাপতির সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ এবং কলেজের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বহিঃপ্রভাব বিস্তারে সহায়তা করেছেন। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলেজের সব প্রশাসনিক, একাডেমিক ও আর্থিক দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি কলেজের কোনো অফিসিয়াল কাগজপত্র, বিল, দলিল বা ভাউচারে স্বাক্ষর করতে পারবেন না। কলেজ পরিচালনা সংক্রান্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ কিংবা আর্থিক লেনদেনেও তার অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বর্তমানে কলেজের উপাধ্যক্ষ মোঃ মাহফুজার রহমান (ইনডেক্স নং ৫১৬৬৯) কে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। তিনি প্রশাসনিক, একাডেমিক ও আর্থিক সব কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শেখ কামরুজ্জামান বলেন, “আমি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে চাই। দীর্ঘ ১০ বছর কলেজে কোনো অডিট হয়নি। আমি ব্যক্তিগত অর্থায়নে অডিট করানোর উদ্যোগ নেই। এ বিষয়েই অধ্যক্ষ আমার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।"

অন্যদিকে, বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল লতিফ দাবি করেন, কলেজে ৭ জনের নিয়োগ নিয়ে সভাপতির সাথে তার দ্বন্দ। ফলে তাকে চাপে রাখেতে সভাপতি তার মনগড়া পকেট অডিট কমিটি করেছে। ওই নিয়োগগুলোকে বৈধ করতে সভাপতির যা করা প্রয়োজন, তিনি তাই করছেন। কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভা হয় সভাপতির বাসায়। আমার চাকুরীর বয়স রয়েছে আর ক’দিন মাত্র।

এই ঘটনায় কলেজ অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এবং শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

কালের সমাজ//র.ন

Side banner
Link copied!