ঢাকা সোমবার, ০৪ আগস্ট, ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২

‘এক-এগারোর প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে’—জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্য

কালের সমাজ | নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ৪, ২০২৫, ০৭:৪১ পিএম ‘এক-এগারোর প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে’—জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্য

আগামীকাল (৫ আগস্ট) মঙ্গলবার পালিত হতে যাচ্ছে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক বছর এবং ঐতিহাসিক ‍‍`জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস‍‍`। এ উপলক্ষে চলছে নানা আয়োজন। এই প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন।

সোমবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক সংক্ষিপ্ত স্ট্যাটাসে মাহফুজ লিখেন, ‘১/১১-এর পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে!’

এই স্ট্যাটাসের ১৫ মিনিট পর আরেকটি দীর্ঘ পোস্টে তিনি বলেন, ‘জুলাই আমাদের সবার।’ তিনি সেখানে দল-মত-আদর্শ নির্বিশেষে অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অবদানের কথা স্মরণ করেন।

মাহফুজ আলমের বক্তব্যে যা উঠে এসেছে:

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান কেবল একটি নির্দিষ্ট দলের আন্দোলন ছিল না, বরং নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল।

তার ভাষ্য অনুযায়ী—

  • শিবির মাঠপর্যায়ে ‘জনশক্তি’ ও সংগঠনের সমন্বয় দিয়ে আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়।

  • ছাত্রদল ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় ফ্যাসিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে সক্রিয় প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

  • ছাত্রশক্তি মাঠে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং সিভিল সোসাইটি ও সাংস্কৃতিক পরিসরে আস্থা তৈরি করেছে।

  • ছাত্র ইউনিয়নের একটি অংশ, ছাত্র ফেডারেশন এবং অন্যান্য বাম ছাত্র সংগঠন মাঠে এবং বিবৃতিতে সক্রিয় ছিল।

  • আলেম ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা রাজপথে দীর্ঘ সময় প্রতিরোধ করেছেন—যার একটি উদাহরণ যাত্রাবাড়ী।

  • শ্রমজীবী, প্রাইভেট শিক্ষার্থী, রিকশাচালক ও নিম্ন-মধ্যবিত্তরা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

  • নারীরা রাজপথে ও আহতদের পাশে থেকে আন্দোলনকে শক্তি দিয়েছেন।

  • স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীরা নিজেরাই নেতৃত্ব দিয়ে প্রতিরোধ স্থাপন করেছেন।

  • বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নীরবে শক্ত ভূমিকা রেখেছে।

  • ছাত্রলীগের একটি অংশ বিদ্রোহ করে অভ্যুত্থানে অংশ নেয়।

  • মধ্যবিত্ত শ্রেণি আন্দোলনের শেষ দিকে যুক্ত হয়ে আন্দোলনকে আরও বেগবান করেছে।

  • পেশাজীবী, মিডিয়া ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা একাত্মতা প্রকাশ করেন।

  • প্রবাসী শ্রমিক ও পেশাজীবীরা বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে অভ্যুত্থানের পক্ষে অবস্থান নেন।

  • সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার ও র‍্যাপাররা জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করেছেন।

মাহফুজ আলম বলেন, "জনগণের লড়াইয়ে কার কী অবদান অস্বীকার করবেন?"

তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা ও প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। অনেকে একে ১/১১-এর প্রেক্ষাপটের সঙ্গে তুলনা করে নতুন রাজনৈতিক সম্ভাবনার ইঙ্গিত বলেও ব্যাখ্যা করছেন।

কালের সমাজ//র.ন

Side banner

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!