ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট, ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২

সিরাজগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে উচ্ছেদ অভিযান

কালের সমাজ | জলিলুর রহমান জনি, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি আগস্ট ৭, ২০২৫, ১১:০৯ এএম সিরাজগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে উচ্ছেদ অভিযান

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে ১৬২টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। গত (৬ আগস্ট) দিনব্যাপী এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানটি শুরু হয় সুবর্ণসাড়া থেকে এবং শেষ হয় বেলকুচি পৌরসভার কমপ্লেক্স পর্যন্ত।

এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান। এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, র‍্যাব-১২ এর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মোহাম্মদ উল্লাহ, বেলকুচি থানা পুলিশ এবং বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরিন জাহান উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই জমিগুলো অবৈধভাবে দখল করে রাখা হয়েছিল। স্থানীয় জনগণ এবং ব্যবসায়ীদের কিছু অংশ এই জমিগুলোতে স্থাপনা নির্মাণ করেছিল, যা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত। স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানান, ‍‍`আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছি। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ফলে সামগ্রিক উন্নয়ন কার্যক্রমে কোনো বাধা থাকবে না।‍‍`

স্থানীয় জনগণের মধ্যে এই উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কিছু মানুষ এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেছে, কারণ তারা মনে করে এটি এলাকায় উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করবে। অন্যদিকে, কিছু অবৈধ স্থাপনা মালিক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং দাবি করেছে যে তারা দীর্ঘদিন ধরে এখানে ব্যবসা পরিচালনা করছে।

আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ধরনের উচ্ছেদ অভিযান সম্পত্তির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তবে, সরকারের উচিত এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের আগে যথাযথ পুনর্বাসন এবং ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা।

এই উচ্ছেদ অভিযানের ফলে বেলকুচি এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। ভবিষ্যতে এই এলাকায় পানি সংরক্ষণ এবং বন্যা প্রতিরোধের জন্য বিশেষ প্রকল্প নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

সামগ্রিকভাবে, এই উদ্যোগটি সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে একটি যৌথ প্রচেষ্টার ফলাফল, যা সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে ভূমিকা রাখবে। তবে, ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনার সময় স্থানীয় জনগণের সাথে আরও সুসম্পর্ক স্থাপন এবং তাদের মতামত গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

কালেরর সমাজ//র.ন

Side banner
Link copied!