ঢাকা শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২

সিরাজগঞ্জে ভেজালবিরোধী অভিযানে জরিমানা আদায়ে সাফল্য

কালের সমাজ | জলিলুর রহমান জনি, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫, ০২:৩৪ পিএম সিরাজগঞ্জে ভেজালবিরোধী অভিযানে জরিমানা আদায়ে সাফল্য

সিরাজগঞ্জ জেলায় ভেজালবিরোধী অভিযানে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত এই অভিযানে ১৯০টি মামলা দায়ের এবং ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলায় সর্বাধিক অভিযান পরিচালনা করা হয় যেখানে ২৭টি অভিযানের মাধ্যমে ৪৯টি মামলা দায়ের করে ৫ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। বেলকুচি উপজেলায় ১৯টি অভিযানে ৬১টি মামলায় আদায় হয়েছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে এককভাবে ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

কাজিপুর উপজেলায় ৫টি অভিযানে ৬৭ হাজার টাকা, রায়গঞ্জে ১৭টি অভিযানে ৮২ হাজার টাকা, উল্লাপাড়ায় ৬টি অভিযানে ৫৮ হাজার টাকা, শাহজাদপুরে ১টি অভিযানে ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং কামারখন্দ উপজেলায় ৯টি অভিযানে ৫১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তবে তাড়াশ ও চৌহালী উপজেলায় উক্ত সময়ে কোনো অভিযান পরিচালিত হয়নি।

জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. আলী নোওয়াজ চৌধুরী এই অভিযানের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, ‍‍`অধিক মুনাফার আশায় অসাধু ব্যবসায়ীরা মাছ, ফল, শিশু খাদ্য, জুসসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যে ভেজাল মিশিয়ে আসছে। এসব ভেজাল খাদ্য গ্রহণে মানুষ দীর্ঘমেয়াদে শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, বদহজম, লিভার সিরোসিস, কিডনি ও হৃদরোগ, এমনকি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে।‍‍`

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল আমীন বলেন, ‍‍`শুধু অভিযান নয়, জনগণকে সচেতন করাই ভেজাল প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়। এজন্য নিয়মিত মনিটরিংয়ের পাশাপাশি আইন প্রয়োগ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।‍‍`

এই অভিযানের মাধ্যমে প্রশাসন শুধুমাত্র জরিমানা আদায়েই সাফল্য পায়নি, বরং সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজেও অগ্রসর হয়েছে। ভেজাল খাদ্যের বিপদ সম্পর্কে জানাতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদে ভেজাল খাদ্যের প্রভাব কমে আসবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিভিন্ন পর্যবেক্ষকদের মতে, ভেজালবিরোধী এই অভিযান শুধু সময়ের দাবি নয়, বরং জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অত্যন্ত জরুরি। ভবিষ্যতে এই ধরনের অভিযান আরও ব্যাপক পরিসরে পরিচালিত হলে, জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে তা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

কালের সমাজ//র.ন

Side banner
Link copied!