ঢাকা শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২

ডুমুরিয়ার শালতা নদীর চরে চুন কারখানা, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে গ্রামবাসী

কালের সমাজ | ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫, ০৬:২০ পিএম ডুমুরিয়ার শালতা নদীর চরে চুন কারখানা, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে গ্রামবাসী

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শালতা নদীর চরে গড়ে ওঠা চুন কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়া ও দূর্গন্ধে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতভর শামুক পুড়িয়ে চুন উৎপাদনের ফলে পরিবেশ বিপর্যয়সহ শ্বাসকষ্ট ও কাশির মতো স্বাস্থ্য সমস্যা বাড়ছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, প্রায় দুই বছর আগে খুলনার সবুজ সরদার ধানিবুনিয়া গ্রামের পাশে শালতা নদীর চরভূমিতে এ কারখানা স্থাপন করেন। স্থানীয় চিংড়ি চাষিরা শামুকের খোলস ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। এসব খোলস কিনে কারখানায় রাতভর চুল্লিতে পুড়িয়ে চুন তৈরি করা হয়। প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে ভোর ৬-৭টা পর্যন্ত চলা এ প্রক্রিয়ায় তীব্র ধোঁয়া ও দুর্গন্ধে পুরো এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।

ধানিবুনিয়া গ্রামের কৃষক গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, “রাতে চুল্লি জ্বলতে শুরু করলে ঘরবাড়ি ধোঁয়ায় ঢেকে যায়, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।” স্থানীয় চিকিৎসক নিত্য রঞ্জন রায় জানান, শ্বাসকষ্ট ও কাশি নিয়ে প্রতিদিনই রোগীরা তার কাছে আসছেন। অন্যদিকে চাষি বাবলু মণ্ডলের অভিযোগ, বাতাসে ভেসে আসা ধোঁয়ার গুঁড়া তাদের চিংড়ি ঘেরে পড়ায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা গত ১৭ জুলাই পরিবেশ অধিদপ্তরসহ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

তবে কারখানা মালিক সবুজ সরদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ফাঁকা চরে কারখানা চালাই। কিছু ধোঁয়া বের হলেও মানুষের ক্ষতি হওয়ার কথা না। বরং স্থানীয়রা চাঁদা দাবি করে ব্যর্থ হয়ে অভিযোগ করেছে।”

ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল-আমিন জানান, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের খুলনা কার্যালয়ের পরিচালক সাদিকুল ইসলামও বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

কালের সমাজ//র.ন

Side banner
Link copied!