লক্ষ্মীপুরসহ আশপাশের এলাকায় চলাচলকারী আনন্দ পরিবহনের কিছু ড্রাইভারের বেপরোয়া আচরণে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এরা নিজেদের সবসময় নির্দোষ প্রমাণ করতে চাইলেও আসলে তাদের বেপরোয়া চালানো ও মাদকসেবনের কারণেই প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
গত পরশুদিন সড়কে একটি মসজিদের দেয়ালে ধাক্কা খায় আনন্দ পরিবহনের একটি গাড়ি। এ ঘটনার পরও ড্রাইভাররা দোষ এড়িয়ে দায় চাপানোর চেষ্টা করে অন্যদিকে। এর আগে প্রায় সাত মাস আগে স্থানীয় এক ভুক্তভোগী বাইক নিয়ে সড়কের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় আনন্দ পরিবহনের গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। এতে তার হাত ভেঙে যায়, দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল, একটি আইফোন ও বাইক ভেঙে যায়—যার মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। তবুও ড্রাইভারদের পক্ষ থেকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ বা দায় স্বীকার করা হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, আনন্দ পরিবহনের কিছু ড্রাইভার নিয়মিত মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক সেবন করে গাড়ি চালান। এতে যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি বাড়ছে প্রতিনিয়ত। শুধু তাই নয়, তারা একদিকে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, অন্যদিকে নিজেরাই সেবন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে যাত্রীদের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, স্ট্যান্ড এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারি এবং ড্রাইভারদের বেপরোয়া আচরণের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
কালের সমাজ/ ল.প./সাএ
আপনার মতামত লিখুন :