রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ৭ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে কক্সবাজারে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এ প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জাতিগত নির্মূল ঠেকাতে বৈশ্বিক উদ্যোগেরও আহ্বান জানান।
সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা। পরে রোহিঙ্গা ইস্যুকেন্দ্রিক অংশীজন সংলাপে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “রোহিঙ্গাদের জাতিগত নির্মূলের ভয়াবহ পরিকল্পনা থেকে সশস্ত্র ঘাতকদের থামানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সম্পদ ও সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ মানবিক কারণে সীমান্ত খুলে দিয়েছিল। এখন মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মিকে নিশ্চিত করতে হবে যেন নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ না করে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশ এখন স্থিতিশীল। জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যেও আমরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি।”
উচ্চপর্যায়ের অধিবেশন কক্সবাজারে
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ২৪, ২৫ ও ২৬ আগস্ট কক্সবাজারে রোহিঙ্গা বিষয়ে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে প্রায় ৪০টি দেশের প্রতিনিধি, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের অংশগ্রহণ আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীও সরাসরি নিজেদের অভিজ্ঞতা ও দাবি উপস্থাপন করার সুযোগ পাবেন।
তিনি বলেন, “রোহিঙ্গা সংকটকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আনতে তিনটি বড় সম্মেলনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর প্রথমটি কক্সবাজারে শুরু হলো। দ্বিতীয় ও সবচেয়ে বড় সম্মেলন হবে ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে, যেখানে প্রায় ১৭০টি দেশ অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর দোহা, কাতারে আরেকটি উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনের আয়োজন করা হবে।”
প্রেস সচিবের মতে, রোহিঙ্গাদের চলমান মানবিক সংকট আন্তর্জাতিক ফোরামে যথাযথভাবে তুলে ধরা সহজ নয়। তবে কক্সবাজারে আয়োজিত এই সংলাপকে বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :