ইউরোভিশন প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এবার ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়েও কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত দিল স্পেন। দেশটির সমাজতান্ত্রিক দলের মুখপাত্র পাত্রি লোপেস জানিয়েছেন, ২০২৬ বিশ্বকাপে ইসরায়েল অংশ নিলে স্পেনও খেলা থেকে সরে দাঁড়াতে পারে।
মঙ্গলবার কংগ্রেসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে লোপেস বলেন, ইউরোভিশনের মতো ফুটবলেও একই নীতি অনুসরণ করা হতে পারে। তার ভাষায়, “ইসরায়েল বর্তমানে গাজায় ভয়াবহ স্থল আক্রমণ চালাচ্ছে। প্রতিদিন শিশু হত্যা, খাদ্যের খোঁজে বের হলে মানুষকে গুলি করা, শহর ধ্বংস করা—এসব আত্মরক্ষা বা সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই নয়, এটি সরাসরি গণহত্যা।”
তিনি জানান, ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই স্পেনের জনগণ রাস্তায় নেমেছেন। ‘লা ভুয়েল্তা’ সাইক্লিং প্রতিযোগিতার সময়ও এমন দৃশ্য দেখা গেছে। তার দাবি, জনগণ মরতে থাকা মানুষদের পাশে থাকতে চায়, তাই ইসরায়েলি দল বিশ্বকাপে এলে প্রতিবাদ হবেই।
লোপেস প্রশ্ন তুলেছেন, রাশিয়ার ক্ষেত্রে যেমন ক্রীড়াক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে, ইসরায়েলের ক্ষেত্রে কেন নয়। “রাশিয়াকে বাদ দেওয়া সম্ভব হলে ইসরায়েলকে কেন নয়? পার্থক্যটা কোথায়?”—জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলো যদি ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ না করে, তাহলে স্পেন নিজেদের অংশগ্রহণ নিয়েও ভাবতে বাধ্য হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠিতব্য ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে স্পেনের অনুপস্থিতির মতো ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটতে পারে।
লোপেস অভিযোগ করেন, বহু ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদকে হত্যা করা হলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোনো প্রতিবাদ হয়নি। তার প্রশ্ন, “তাহলে বিষয়টা কি সত্যিই খেলাধুলা নিয়ে, নাকি কেবল অর্থের খেলাই চলছে?”
কালের সমাজ // র.ন
আপনার মতামত লিখুন :