ইজারাকৃত কয়রা নদী (বদ্ধ জলমহাল) জোরপূর্বক ভোগ দখলের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কয়রা উপজেলার হায়াতখালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. সেরাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় তিনি জানান, সমিতিটি বাংলা ১৪২৮ থেকে ১৪৩৩ সন পর্যন্ত ৬ বছরের জন্য নদীটি ইজারা নেয়, যার বাৎসরিক রাজস্ব ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। পরে সমিতির পক্ষ থেকে খড়িয়া মঠবাড়ি গ্রামের মৃত হোসেন আলী সানার ছেলে সিরাজুল সানাকে নদীটির রক্ষণাবেক্ষণ ও অংশীদারিত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়। শর্ত ছিল, তিনি সমিতিকে প্রতিবছর ৬ লাখ টাকা প্রদান করবেন।
কিন্তু অভিযোগ অনুযায়ী, গত দুই বছর ধরে তিনি সমিতিকে কোনো অর্থ প্রদান করেননি। এতে প্রায় ১২ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। উল্টো সমিতির সদস্যরা টাকা চাইতে গেলে তিনি হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন এবং বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন বলেও অভিযোগ করেন সেরাজুল ইসলাম।
তিনি জানান, এ ঘটনায় তারা কয়রা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন (নং-৪৫৩, তারিখ ১১-৯-২৫)। এছাড়া প্রতিপক্ষের প্ররোচনায় ৩০০ টাকার একটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অলিখিতভাবে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়েছিলেন। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে গত ৯ আগস্ট খুলনার বিজ্ঞ নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ওই স্ট্যাম্প বাতিল ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রশাসনের কাছে দ্রুত বকেয়া ১২ লাখ টাকা আদায়ের জন্য সহযোগিতা কামনা করেন।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :