‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ ও নানা অনিয়মের অভিযোগে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতির মধ্যে এখনও চারজনের বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
১২ বিচারপতির মধ্যে সর্বশেষ বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান গত ৩১ আগস্ট পদত্যাগপত্র জমা দেন। রাষ্ট্রপতি সেটি গ্রহণ করেন ৭ সেপ্টেম্বর। এর আগে বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন।
এছাড়া বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলন হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ না পেয়ে অতিরিক্ত বিচারপতির মেয়াদ শেষ করে অবসরে যান। অপরদিকে বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস বয়সসীমা পূর্ণ করে অবসর গ্রহণ করেন।
অন্যদিকে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর রাষ্ট্রপতির আদেশে বিচারপতি খিজির হায়াতকে ১৮ মার্চ এবং বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে ২১ মে অপসারণ করা হয়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহ্বানে বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থী ও আইনজীবীরা হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন। ওই সময় ১২ বিচারপতিকে বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি, ফলে তারা বিচারকার্যে অংশ নিতে পারেননি।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় বহাল থাকার কারণে বিচারপতি অপসারণের এখতিয়ার পুনরায় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে আসে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের এই কাউন্সিল অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্ব পালন করছে।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জানিয়েছে, ইতোমধ্যে কয়েকজন বিচারপতি পদত্যাগ, অপসারণ ও অবসরে গেলেও অবশিষ্ট চারজন বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম এখনও চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষ হলে সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য সুপারিশ পাঠাবে কাউন্সিল।
কালের সমাজ//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :